ফরিদগঞ্জে গৃহবধুর গলায় ফাঁস দেয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড়

  • আপডেট: ০৪:০৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০
  • ১৬

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
ফরিদগঞ্জে আয়েশা বেগম(২০) নামে তিনমাসের অন্ত:স্বত্তা এক গৃহবধুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননের ঘটনা নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার উপজেলার পাইকপাড় দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ বুধবার রাতে লাশ উদ্ধার করে বৃহষ্পতিবার সকালে পোষ্টমর্টেমের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করেছে। এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হলেও ওই গৃহবধূর পিতা জামাতা জসিম উদ্দিনসহ ৪জনকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ করেছে।

জানা গেছে, পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের জসিম উদ্দিনের সাথে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের বিষেরবন্দ গ্রামের আ: রাজ্জাক পাটওয়ারীর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের সাথে ৬ মাস পুর্বে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর বিয়ে হয়। বর্তমানে আয়েশা তিন মাসের অন্ত:স্বত্তা ছিল।

আয়েশার পিতা আ: রাজ্জাক জানান, বিয়ের সময় তার স্বামীকে স্বর্ণালংকার ছাড়াও নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি। কিন্তু সেই টাকার পর আবরো সে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে এবং তার মেয়েকে মানসিক নির্যাতন করে। তিনি মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ৫০ হাজার দেয়ার কিছুদিন পর আবারো জসিম টাকা দাবী করে। তারা আমার মেয়েকে শারিরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে। বুধবার রাতে সেই বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে আমার মেয়ে আয়েশা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্ম হত্যা করেছে বলে জানানো হয়। যা আমার কাছে বিশ্বাস যোগ্য নয়। কোন কারণ ছাড়া সে কেন আত্ম হনন করবে।

আয়েশার বোন রুনা জানান, তার ছোট বোন আয়েশা নামাজী এবং আত্মহননকে ভয় পায়। তাছাড়া সে অন্ত:স্বত্তা। এই অবস্থায় তাকে মেরে ঝুলিয়ে দেয়া বা আত্ম হত্যা করতে বাধ্য করা ছাড়া আর কোন কারণ থাকতে পারে না।

এব্যাপারে আয়েশার স্বামী স্কীম ম্যানেজার জসিম উদ্দিন জানান, ‘ বুধবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ই একত্রে মাগরিবের নামাজ পড়ার পর নাস্তা করেন। পরে সে কৃষি জমিতে পানি দিয়ে কাজ শেষ করে রাত ৯টায় বাড়ি ফিরে, ঘরের দরজায় এসে আয়েশা, আয়েশা, বলি ডাকি, দরজা খুলছে না বলে দরজা ধাক্কা দেই। তারপরও দরজা খুলছে না বলে আমি অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করে দরজায় লাথি মেরে দেখি, আমার স্ত্রী আয়েশা ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে। আমি চিৎকার দিয়ে উঠি, এই সময় আমার মা সহ বাড়ির অন্য লোকজন এসে ঘর থেকে দাঁ দিয়ে ফাঁসির ওড়না কেটে দেয়’।

এব্যাপারে লাশ উদ্ধারকারী ফরিদগঞ্জ থানার এসআই জালাল জানান, সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধারে করে পোষ্ট মর্টেমের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করেছি। অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া আয়েশার বাবা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট আসলে প্রকৃত সত্য জানা যাবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

ফরিদগঞ্জে গৃহবধুর গলায় ফাঁস দেয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড়

আপডেট: ০৪:০৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
ফরিদগঞ্জে আয়েশা বেগম(২০) নামে তিনমাসের অন্ত:স্বত্তা এক গৃহবধুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননের ঘটনা নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার উপজেলার পাইকপাড় দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ বুধবার রাতে লাশ উদ্ধার করে বৃহষ্পতিবার সকালে পোষ্টমর্টেমের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করেছে। এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হলেও ওই গৃহবধূর পিতা জামাতা জসিম উদ্দিনসহ ৪জনকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ করেছে।

জানা গেছে, পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের জসিম উদ্দিনের সাথে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের বিষেরবন্দ গ্রামের আ: রাজ্জাক পাটওয়ারীর ছোট মেয়ে আয়েশা বেগমের সাথে ৬ মাস পুর্বে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর বিয়ে হয়। বর্তমানে আয়েশা তিন মাসের অন্ত:স্বত্তা ছিল।

আয়েশার পিতা আ: রাজ্জাক জানান, বিয়ের সময় তার স্বামীকে স্বর্ণালংকার ছাড়াও নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি। কিন্তু সেই টাকার পর আবরো সে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে এবং তার মেয়েকে মানসিক নির্যাতন করে। তিনি মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ৫০ হাজার দেয়ার কিছুদিন পর আবারো জসিম টাকা দাবী করে। তারা আমার মেয়েকে শারিরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে। বুধবার রাতে সেই বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে আমার মেয়ে আয়েশা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্ম হত্যা করেছে বলে জানানো হয়। যা আমার কাছে বিশ্বাস যোগ্য নয়। কোন কারণ ছাড়া সে কেন আত্ম হনন করবে।

আয়েশার বোন রুনা জানান, তার ছোট বোন আয়েশা নামাজী এবং আত্মহননকে ভয় পায়। তাছাড়া সে অন্ত:স্বত্তা। এই অবস্থায় তাকে মেরে ঝুলিয়ে দেয়া বা আত্ম হত্যা করতে বাধ্য করা ছাড়া আর কোন কারণ থাকতে পারে না।

এব্যাপারে আয়েশার স্বামী স্কীম ম্যানেজার জসিম উদ্দিন জানান, ‘ বুধবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ই একত্রে মাগরিবের নামাজ পড়ার পর নাস্তা করেন। পরে সে কৃষি জমিতে পানি দিয়ে কাজ শেষ করে রাত ৯টায় বাড়ি ফিরে, ঘরের দরজায় এসে আয়েশা, আয়েশা, বলি ডাকি, দরজা খুলছে না বলে দরজা ধাক্কা দেই। তারপরও দরজা খুলছে না বলে আমি অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করে দরজায় লাথি মেরে দেখি, আমার স্ত্রী আয়েশা ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে। আমি চিৎকার দিয়ে উঠি, এই সময় আমার মা সহ বাড়ির অন্য লোকজন এসে ঘর থেকে দাঁ দিয়ে ফাঁসির ওড়না কেটে দেয়’।

এব্যাপারে লাশ উদ্ধারকারী ফরিদগঞ্জ থানার এসআই জালাল জানান, সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধারে করে পোষ্ট মর্টেমের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করেছি। অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া আয়েশার বাবা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট আসলে প্রকৃত সত্য জানা যাবে।