আজ গুণাহ থেকে মুক্তির রজনী

  • আপডেট: ০১:৪২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০
  • ৩২

নতুনেরকথা অনলাইন ডেস্ক:

আজ পবিত্র শবেবরাত বা গুণাহ থেকে মুক্তির রজনী। হিজরি সালের শাবানের ১৪ তারিখ রাতটি মুসলিম উম্মাহ সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে। অনেকের মতে, মহিমান্বিত এ রাতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। মুসলমানরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকাট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।

অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন। প্রতি বছর এ রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ হরেকরকমের উপাদেয় খাবার তৈরি করা হয়। এসব খাবার বিতরণ করা হয় আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে। অনেকে মসজিদে রাতভর ইবাদত করে ভোরে কবরস্থানে যান। চিরনিদ্রায় শায়িত আপনজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। কিন্তু এ বছর দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজ নিজ ঘরে ইবাদত করার অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। পাশাপাশি পবিত্র এ রাতে কবরস্থান ও মাজারে যাওয়া যাবে না বলেও নির্দেশনা জারি করেছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (ডিজি) আনিস মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণী দিয়েছেন। এতে তিনি শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

দেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে এই দোয়া ও প্রার্থনার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র শবেবরাতে জিয়ারতের জন্য কবরস্থান ও মাজারে অনেক লোকের সমাগম হয়। এছাড়া কবরস্থান ও মাজারের ভেতরে-বাইরে অনেক ভিক্ষুক, অসহায়, অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি সাহায্যের জন্য সমবেত হয়।

এ ধরনের জনসমাগমের কারণে করোনাভাইরাস ব্যাপক হারে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় করোনার সংক্রমণ রোধকল্পে শবেবরাতে কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে কবরস্থানে না গিয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে থেকে মৃত আত্মীয়স্বজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কবরস্থান ও মাজারের গেট বন্ধ রাখাসহ কবরস্থানের ভেতর ও বাইরে কোনো ধরনের জনসমাগম না করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে গুজব ছড়ানো ও গুজবে বিশ্বাস করা থেকে বিরত থাকার জন্যও সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

আজ গুণাহ থেকে মুক্তির রজনী

আপডেট: ০১:৪২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০

নতুনেরকথা অনলাইন ডেস্ক:

আজ পবিত্র শবেবরাত বা গুণাহ থেকে মুক্তির রজনী। হিজরি সালের শাবানের ১৪ তারিখ রাতটি মুসলিম উম্মাহ সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে। অনেকের মতে, মহিমান্বিত এ রাতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। মুসলমানরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকাট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।

অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন। প্রতি বছর এ রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ হরেকরকমের উপাদেয় খাবার তৈরি করা হয়। এসব খাবার বিতরণ করা হয় আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে। অনেকে মসজিদে রাতভর ইবাদত করে ভোরে কবরস্থানে যান। চিরনিদ্রায় শায়িত আপনজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। কিন্তু এ বছর দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজ নিজ ঘরে ইবাদত করার অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। পাশাপাশি পবিত্র এ রাতে কবরস্থান ও মাজারে যাওয়া যাবে না বলেও নির্দেশনা জারি করেছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (ডিজি) আনিস মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণী দিয়েছেন। এতে তিনি শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

দেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে এই দোয়া ও প্রার্থনার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র শবেবরাতে জিয়ারতের জন্য কবরস্থান ও মাজারে অনেক লোকের সমাগম হয়। এছাড়া কবরস্থান ও মাজারের ভেতরে-বাইরে অনেক ভিক্ষুক, অসহায়, অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি সাহায্যের জন্য সমবেত হয়।

এ ধরনের জনসমাগমের কারণে করোনাভাইরাস ব্যাপক হারে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় করোনার সংক্রমণ রোধকল্পে শবেবরাতে কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে কবরস্থানে না গিয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে থেকে মৃত আত্মীয়স্বজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কবরস্থান ও মাজারের গেট বন্ধ রাখাসহ কবরস্থানের ভেতর ও বাইরে কোনো ধরনের জনসমাগম না করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে গুজব ছড়ানো ও গুজবে বিশ্বাস করা থেকে বিরত থাকার জন্যও সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল।