শাহরাস্তি প্রতিনিধি:
শাহরাস্তিতে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে সংর্ঘষে ৩জন গুরুত্বর আহত হয়েছে।ওই সংর্ঘর্ষের ঘটনায় বসত ঘর ভাংচুর নগদ অর্থসহ স্বর্ণ-গহনা লুটের অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের পরানপুর হাজীবাড়ির হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট পরিবার স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই বাড়ির শহিদউল্যাহ গং দীর্ঘদিন যাবত তাদের বাড়ির মধ্যস্থল দিয়ে বাড়ির পথ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা সহ দেনদরবার করে আসছিলো। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ১৯ মার্চ আনুমানিক রাত ২টায় ১৫/২০জনের একটি সংঘবদ্ধদল ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বসত বাড়ীর কলাপসিবলগেট, ক্যাপসুলগেট ভেঙ্গে, দালানের ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে ও তার পিতা-মাতাকে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন ও স্থানীয় গ্রামবাসী ছুটে এলে প্রতিপক্ষ দূর্বৃত্তরদল পালিয়ে যায়। ওই সময় তাদের বসত ঘর ভাংচুর ওনগদ২লক্ষ টাকা ১০ ভরি স্বর্ণ-গহনা ও ৫টি মোবাইল সেট লুটের এ কান্ড ঘটায় ।এতে ওই বাড়ির হাজী সফিউল্যাহ (৭০) তার পুত্র মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন(৪২) তার মাতা জাহানারা বেগম (৫৫) হামলায় গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তার পিতার অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল করেজ (ঢামেক) প্রেরণ করে।
ভূক্তভোগী রুহুল আমিন জানায়, প্রতিপক্ষ ক্বারী মোঃ শহিদ উল্যাহ পুত্র মোঃ এমদাদুল্যা (৩৫), ফয়েজ উল্যাহ আরিফ (৩০), মোঃ নোমান(২৫), সর্ব পিতা ঐ, গ্রাম- পরানপুর, মোঃ আব্দুল মান্নানের পুত্র আমির হোসেন(৩০), মোঃ আব্দুল হামিদের পুত্র শাহ্ আলম (৩৮) ও মৃত কালা মিয়ার পুত্র ক্বারী শহিদউল্যাগ (৬২) সহ দুবৃৃর্ত্তদলের সঙ্গে এ কান্ড ঘটায়।
এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, যে আমার পিতা সুস্থ্য হলে আমরাও মামলা করবো। এ ব্যাপারে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ আলম জানায়, প্রতিপক্ষ শহিদউল্যাহ গং আমার কাছে একটি অভিযোগ করেছে।