করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের জরুরি বিজ্ঞপ্তি

  • আপডেট: ০২:৩১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০
  • ৩০

চাঁদপুর, ২৪ মার্চ, মঙ্গলবার:

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাঁদপুরবাসীর জন্যে একটি জরুরি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। ২৪ মার্চ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে এটি প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে ‘এতদ্বারা চাঁদপুর জেলার সর্বসাধারনের অবগতির জনা জানানো যাচ্ছে.যে, দেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি রোধের লক্ষ্যে সকল মানুষের স্থাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা

করে মাননীয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা আলোকে চীদপুর জেলায় সকল ধরণের সভা-সমাবেশ, সেমিনার, সামাজিক, অনুষ্ঠান, ধর্মীয় সমাবেশ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, চায়ের স্টপ, হোটেল রেস্তোরীয় আভ্ডাসহ সকল প্রকারের গণজমায়েত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

কাঁচাবাজার, খাবার ও ঔষধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরি সেবাসমূহ চালু থাকবে। খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ, চিকিৎসা, সূতদেহ দাফন/সৎকার বাতীত কেউ নিজ গৃহ থেকে বের হবেন না।

জরুরী প্রয়োজনে ঘর হতে বের হতে হলে জাবশাই প্রমানপত্রসহ বের হতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তা দেখাতে হবে। জরুরি প্রয়োজন বাতীত সকল প্রকার অটো এবং সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকবে। এই আদেশ অমানাকারীদের বিরুন্ধে কঠোর আইনানুগ বাবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ ঘোষণাটি একপ্রকার লকডাউন কিনা চাঁদপুর টাইমসের এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জানান, ‘লকডাউন এক প্রকার টেকনিক্যাল টার্ম। এর সাথে একাধিক বিষয়ে নিষেধজ্ঞাসহ অনেক বিষয় জড়িত হয়ে যায়। তাই আমরা আমাদের এ ঘোষণাকে লকডাউন বলতে চাচ্ছি না। তবে জরুরি ঘোষণাপত্রে যেসব বিধিনিষেধ বলা হয়েছে সেগুলোই নির্দেশনা হিসেবে থাকবে।’

এদিকে এ ঘোষণার পরপরই চাঁদপুর শহরে গণজমায়েত বন্ধে জরুরি প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া চা দোকানসহ অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ করার জন্যে পুলিশ প্রশাসনের অভিযান করতে দেখা গেছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে খাঁটি গরুর দুধ বিক্রর নামে প্রতারণা

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের জরুরি বিজ্ঞপ্তি

আপডেট: ০২:৩১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০

চাঁদপুর, ২৪ মার্চ, মঙ্গলবার:

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাঁদপুরবাসীর জন্যে একটি জরুরি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। ২৪ মার্চ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে এটি প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে ‘এতদ্বারা চাঁদপুর জেলার সর্বসাধারনের অবগতির জনা জানানো যাচ্ছে.যে, দেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি রোধের লক্ষ্যে সকল মানুষের স্থাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা

করে মাননীয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা আলোকে চীদপুর জেলায় সকল ধরণের সভা-সমাবেশ, সেমিনার, সামাজিক, অনুষ্ঠান, ধর্মীয় সমাবেশ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, চায়ের স্টপ, হোটেল রেস্তোরীয় আভ্ডাসহ সকল প্রকারের গণজমায়েত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

কাঁচাবাজার, খাবার ও ঔষধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরি সেবাসমূহ চালু থাকবে। খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ, চিকিৎসা, সূতদেহ দাফন/সৎকার বাতীত কেউ নিজ গৃহ থেকে বের হবেন না।

জরুরী প্রয়োজনে ঘর হতে বের হতে হলে জাবশাই প্রমানপত্রসহ বের হতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তা দেখাতে হবে। জরুরি প্রয়োজন বাতীত সকল প্রকার অটো এবং সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকবে। এই আদেশ অমানাকারীদের বিরুন্ধে কঠোর আইনানুগ বাবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ ঘোষণাটি একপ্রকার লকডাউন কিনা চাঁদপুর টাইমসের এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জানান, ‘লকডাউন এক প্রকার টেকনিক্যাল টার্ম। এর সাথে একাধিক বিষয়ে নিষেধজ্ঞাসহ অনেক বিষয় জড়িত হয়ে যায়। তাই আমরা আমাদের এ ঘোষণাকে লকডাউন বলতে চাচ্ছি না। তবে জরুরি ঘোষণাপত্রে যেসব বিধিনিষেধ বলা হয়েছে সেগুলোই নির্দেশনা হিসেবে থাকবে।’

এদিকে এ ঘোষণার পরপরই চাঁদপুর শহরে গণজমায়েত বন্ধে জরুরি প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া চা দোকানসহ অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ করার জন্যে পুলিশ প্রশাসনের অভিযান করতে দেখা গেছে।