অনলাইন ডেস্ক:
দেশের অন্যতমপেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর দ্বিবার্ষিক (২০২০-২০২১ মেয়াদের) নির্বাচন বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে সারা দেশে আইইবি’র ১৮টি কেন্দ্র, ৩২টি উপকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসব মুখর, শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন এবং বৃহৎ এ সংগঠনেনর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ হোসাইন বিপুল ভোটে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট হেডকোয়াটারের ভাইস প্রেসিডেন্ট (একাডেমিক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল) পদে বিজয় লাভ করেছেন।
প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন দীর্ঘ ২৫ বৎসর যাবত আইইবি’র সাথে সম্পৃক্ত, এই দীর্ঘ সময়ে তিনি আইইবি’র বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। বিশেষ করে ঢাকা কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক থাকাকালে প্রকৌশলী সমাজ ও প্রকৌশল পেশার কল্যাণে কাজ করেছেন।
প্রকৌঃ মোঃ হোসাইন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) থেকে স্নাতক এবং আইবিএ (IBA), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ডেনমার্ক থেকে Institutional and HRD (IHRD) বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি বর্তমান আইইবি’র অর্গানোগ্রাম, সংশোধিত গঠনতন্ত্র কমিটির সদস্য হিসেবে অবদান রেখেছেন।তাছাড়া বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালা এবং সম্মেলন আয়োজনেও ছিলো প্রকৌঃ মোঃ হোসেনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মূলতঃ প্রকৌশল পেশার উৎকর্ষতা সাধন এবং প্রকৌশলী সমাজের কল্যানে একজন নির্ভীক নেতা হিসেবে প্রকৌশল সমাজের পাশে ছিলেন বলে বিশ্বাস করেন আইইবি’র সদস্য প্রকৌশলী গন।
দায়িত্ব পালন করেছেন বিভিন্ন সময় সেন্টাল কাউন্সিল মেম্বার হিসেবে। আইইবি এর ঢাকা কেন্দ্রের উপদেষ্টা সদস্য ছিলেন এছাড়া, ও তিনি প্রশাসন ও অর্থ কমিটি, ইপিএসএসডব্লিউ কমিটির ও সদস্য ছিলেন। আইইবি এর স্যুভেনীর কমিটি এবং আইইবি এর ৫৩ তম সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যা সচিব হিসেবে ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।সফল সম্পাদক ছিলেন প্রযুক্তির।
প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন “বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব” এর সফল প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট, বুয়েট ৮৮ ক্লাব এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়া ও উত্তরা ১৪ নং সেক্টর সোসাইটি পরিচালনা কমিটির ও একজন সফল প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বুয়েট এলামনাই এর একজন ট্রাস্টি।
তিনি একজন বিদ্যুৎ কর্মী হিসেবে ১৯৯৬ সালে সহকারি পরিচালক পদে প্রথম পাওয়ার সেলে যোগদান করেন। অতপর বিভিন্ন মেয়াদে উপ-পরিচালক এবং পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন এছাড়াও তিনি সেনাকল্যান সংস্থার এমআইএস ডিভিশন এর প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপক ছিলেন, বর্তমানে তিনি বিদ্যুৎখাতের Think Tank পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের তথা বর্তমান সরকারের অত্যান্ত সফল এবং গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টরে বিগত ১০ বছরে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা সর্বাজনবিদীত। একজন সফল মহাপরিচালক হিসেবে তিনি এ সাফল্যের একজন গর্বিত অংশীদার। বিদ্যুৎখাতের মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, বিদ্যুৎখাত উন্নয়নে বিভিন্ন নীতিমালা, আইন প্রণয়ন এবং বিদ্যুৎখাতের বিভিন্ন সংস্থা/কোম্পানিসমূহকে কারিগরী সহায়তা প্রদান করাই পাওয়ার সেলের দায়িত্ব। বিদ্যুতের যে কোন ক্রান্তিলগ্নে আমরা প্রকৌঃ মোঃ হোসাইন কে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দেখেছি। যেমন ২০১৪ সালের ব্ল্যাক আউটের সময় আমরা ওনার অক্লান্ত পরিশ্রম প্রত্যক্ষ করেছি।
তিনি নিয়মিত পেশার বাইরেও ওনার মেধা দিয়ে শিক্ষার প্রসারে অবদান রাখার চেষ্টা করেছেন। প্রকৌঃ মোঃ হোসাইন AIUB, BUBT এবং UNIC সহ বিভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন। তাছাড়া BUET এ পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের Dissertation এ External হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রকৌঃ মোঃ হোসাইন মেধা ও একনিষ্ঠতা দিয়ে দেশের গন্ডী পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অবদান রেখেছেন। বিদ্যুৎখাতের উপ-আঞ্চলিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন।বর্তমানে তিনি জাতিসংঘের এসক্যাপের জ্বালানী কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি সার্ক এনার্জি সেন্টর এর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং এর গভর্নিং বোর্ডের একজন সদস্য। তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতার জন্যে যেন ঐতিহাসিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, তিনি তার প্রথম অনুস্বাক্ষরকারী। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ -ভারত এবং বাংলাদেশ-নেপাল বিদ্যুৎখাত সহযোগিতা সম্পর্কিত যৌথ ষ্টিয়ারিং কমিটির একজন সদস্য।
প্রকৌঃ মোঃ হোসাইন বলেন আজ প্রকৌশলী সমাজ বিভিন্ন ভাবে নিগৃহিত ও অবহেলিত। অথচ এ দেশের মেধাবী সন্তানরাই প্রকৌশলী হয়ে থাকে।প্রকৌশলীদের সম্মান,মর্যাদা ও যোগ্যতার ক্ষেত্রে তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আইইবি’র। আমি মেধা,মনন এবং দীর্ঘ ৩১ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আইইবি’র ঐতিহ্য সমুন্বত রাখতে চাই। সেজন্য আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থম ও ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি বলেন, যারা ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।