যেকোন মূল্যে গাইড বই ও কোচিং বন্ধ করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

  • আপডেট: ১০:৪৩:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০
  • ৩৬

অনলাইন ডেস্ক:

শিক্ষা জীবনের জন্য যেমন ভালো ফলাফল করা জরুরি তেমনি ভবিষ্যৎ জীবনে ভালো কিছু করতে জরুরি ভালো মানুষ হওয়া। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হতে হবে সোনার মানুষ।

রবিবার সকালে গুরুদাসপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কল্লোল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি।

গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৬৬৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই, সনদ ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়। এবছর নতুন আরও দুটি এককালীন বৃত্তি জেএসসিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস বৃত্তি ও পিইসিতে রওশন আরা কুদ্দুস বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ের ওপর নির্ভর করলেই চলবে না। কোচিং ও গাইড বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। তবেই সমাজ থেকে কোচিং আর গাইড বাণিজ্য দূর করা সম্ভব হবে। শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু তারা যদি অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তাহলে সোনার মানুষ তৈরি করা সম্ভব হবেনা। তাই শিক্ষকদের পেশাগত দায়িত্বে আরও সচেষ্ট থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারী জোহা কলেজে একটি ছাত্রাবাস ও পরীক্ষা কেন্দ্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন শিক্ষামন্ত্রী।

গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের উন্নয়নের প্রশংসা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যা বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি মাইলফলক। শিক্ষা ক্ষেত্রের বাহিরে ও অবহেলিত চলনবিলের এই জনপদে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আমরা এই উন্নয়নের ধারবাহিকতা ধরে রাখতে চাই আপনাদের সহযোগীটায়।

মন্ত্রী বলেন, কল্লোল ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই সংগঠন বিভিন্নভাবে অবহেলিত দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায়। দেশের উন্নয়নে সামাজিক সংগঠনগুলোর এভাবেই এগিয়ে আসা উচিত। তাহলে সহজেই উন্নয়ন কাজ তরান্বিত হবে। কল্লোল ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্রনৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জন্য ‘স্বপ্ন দার’ স্কুল, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, অবহেলিত নারীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেলাই প্রশিক্ষণ এবং দরিদ্র মেধাবি শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন বৃত্তি প্রদানের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

সহকারী অধ্যাপক রু.ক তুহিন আব্বাসী ও আজিজুন মিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন- অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন- সংরক্ষিত মহিলা (বরিশাল-২৮) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.সাইদুর রহমান, নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সিআরআই এর সমন্বয়কারী তন্ময় আহমেদ, গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হেসেন প্রমুখ।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রামে কলেজে ছাত্রদলের উপর ছাত্র শিবিরের হামলা

যেকোন মূল্যে গাইড বই ও কোচিং বন্ধ করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট: ১০:৪৩:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

শিক্ষা জীবনের জন্য যেমন ভালো ফলাফল করা জরুরি তেমনি ভবিষ্যৎ জীবনে ভালো কিছু করতে জরুরি ভালো মানুষ হওয়া। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হতে হবে সোনার মানুষ।

রবিবার সকালে গুরুদাসপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কল্লোল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি।

গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৬৬৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই, সনদ ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়। এবছর নতুন আরও দুটি এককালীন বৃত্তি জেএসসিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস বৃত্তি ও পিইসিতে রওশন আরা কুদ্দুস বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ের ওপর নির্ভর করলেই চলবে না। কোচিং ও গাইড বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। তবেই সমাজ থেকে কোচিং আর গাইড বাণিজ্য দূর করা সম্ভব হবে। শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু তারা যদি অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তাহলে সোনার মানুষ তৈরি করা সম্ভব হবেনা। তাই শিক্ষকদের পেশাগত দায়িত্বে আরও সচেষ্ট থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারী জোহা কলেজে একটি ছাত্রাবাস ও পরীক্ষা কেন্দ্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন শিক্ষামন্ত্রী।

গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের উন্নয়নের প্রশংসা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যা বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি মাইলফলক। শিক্ষা ক্ষেত্রের বাহিরে ও অবহেলিত চলনবিলের এই জনপদে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আমরা এই উন্নয়নের ধারবাহিকতা ধরে রাখতে চাই আপনাদের সহযোগীটায়।

মন্ত্রী বলেন, কল্লোল ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই সংগঠন বিভিন্নভাবে অবহেলিত দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায়। দেশের উন্নয়নে সামাজিক সংগঠনগুলোর এভাবেই এগিয়ে আসা উচিত। তাহলে সহজেই উন্নয়ন কাজ তরান্বিত হবে। কল্লোল ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্রনৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জন্য ‘স্বপ্ন দার’ স্কুল, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, অবহেলিত নারীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেলাই প্রশিক্ষণ এবং দরিদ্র মেধাবি শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন বৃত্তি প্রদানের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

সহকারী অধ্যাপক রু.ক তুহিন আব্বাসী ও আজিজুন মিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন- অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন- সংরক্ষিত মহিলা (বরিশাল-২৮) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.সাইদুর রহমান, নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সিআরআই এর সমন্বয়কারী তন্ময় আহমেদ, গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হেসেন প্রমুখ।