অনলাইন ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় কাউন্সিলরা রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে যান।
এসময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইলেকশন করতে চান, ভোট চান, সংগঠন করতে চান, নেতা হতে চান তো আগে মানুষের কাছে যান। মানুষের কি সমস্যা আছে দেখেন। মানুষের জন্য কি করতে পারেন, করেন। তাহলে মানুষই আপনাদের সব সুযোগ করে দিবে। আপনাদের কারো কাছে গিয়ে ধরণা দিতে হবে না।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দারিদ্র্যের হার আজকে ২০ ভাগে নেমেছে। আমি তো মনে করি- আমরা সবাই যদি উদ্যোগ নিই- আমাদের নেতাকর্মীদের বলবো- আপনাদেরও উদ্যোগ নেয়া উচিত যে- আপনার এলাকায় কয়টা লোক দরিদ্র আছে, কয়টা লোক ভূমিহীন আছে; নিজেরাই খুঁজে বের করে বলেন, আমাদেরকে দেন।
তিনি বলেন, হিসেব বের করা দল হিসেবে এটা আমাদের একটা কর্তব্য। আমরা করতে পারি, আমাদের দলই পারে। আমরা তাদের ঘরবাড়ি নির্মাণ কিংবা থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারি। সবই করে দিতে পারি। আমাদের তরফ থেকে উদ্যোগটা থাকতে হবে। তাহলে আর দরিদ্র থাকবে না।
‘সরকার বসে সব করবে তা না, আমাদের নেতাদের যদি একটু সক্রিয় অংশগ্রহন থাকে। খুবই দ্রুত আমরা এই দারিদ্র্য বিমোচন করতে পারবো। যেটা আমি বিশ্বাস করি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারেক জিয়া গর্ব করে বলতো দুই হাজার কোটি টাকা যদি সে বানাতে পারে; তবে জীবনেও কেউ বিএনপিকে হারাতে পারবে না। তো দুই হাজারের জায়গায় ৫ হাজার কোটি টাকা বানায়ে কিন্তু থাকতে পারেনি।
‘৫ হাজার কোটি টাকার ওপর বানিয়েছিল তারা। ক্ষমতায় কিন্তু থাকতে পারে নাই। তাদের দুর্নীতি, তাদের সন্ত্রাস, তাদের জঙ্গিবাদ, আওয়ামী লীগের ওপর অতাচার-নির্যাতন।’
শেখ হাসিনা বলেন, যত পাবে তত চাইবে। এটা মাথায় রাখতে হবে। আমরা যে উন্নয়ন করে যাচ্ছি; সে কথা মানুষকে বার বার বলতে হবে। এটা আপনাদের দায়িত্ব। আপনারা বিভিন্ন জেলা, বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন। এটা আপনাদের দায়িত্ব- মানুষকে বলে দিতে হবে যে- আপনাদের জন্য আমরা এ কাজ করেছি। আগে ছিল না, এখন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশটা যে আওয়ামী লীগই উন্নতি করে সেটা প্রমাণিত। এটা মানুষের কাছে গেছে। তবে একটা কথা মনে রাখবেন আমরা খুব উন্নয়ন করেছি বলেই সবাই ভোট দিবে তা না। মানুষের চাওয়ার কোনও সীমা থাকে না।
‘মানুষ সুখ পেলে দুঃখের কথা ভুলে যায়। আর সুখটা যে কারা দিল সেটাও মনে রাখতে চায় না। সেই কারণে তাদেরকে বার বার স্মরণ করাতে হবে। বলতে হবে- আজকে বাংলাদেশ যে পর্যায়ে এসেছে সেটা আওয়ামী লীগ করেছে।’