সহসাই পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই : বাণিজ্যমন্ত্রী

  • আপডেট: ০৯:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৭
অনলাইন ডেস্ক:

সহসাই পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসলে তবেই দম কমবে। এর আগে ১০০ টাকার নিচে পেঁয়াজ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে।

আজ শুক্রবার সকালে রংপুর নগরীর একটি হোটেলে ইটভাটা মালিকদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে আমরা মূলত পেঁয়াজ আমদানি করে থাকি। সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। সেখানেই পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে। আমাদের দেশে আসার পর তা ১০০ টাকা দর পড়ে যাবে। ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে আপাতত কোনও লাভ নেই।

তিনি বলেন, তবে মিশর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসার কথা। সেটা আসলেও দাম একটু কমতে পারে। এছাড়া,পেঁয়াজের বাজার মনিটরিংয়ে মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

এদিকে, গত কয়েক মাস ধরে রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে উঠা-নামা করা পেঁয়াজের বাজার গত দুদিনে কিছুটা কমেছে। দুদিন আগেও যে পেঁয়াজ ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, তা কমে এখন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কিছুটা কমলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন ক্রেতারা। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিল, খিলগাঁও, ফকিরাপুল, সেগুনবাগিচা ও রামপুরা কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এসব বাজারে দেখা যায়, বাজারভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এসব বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি আমদানি করা ভারতীয় (বড়) পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ (ছোট) প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি সব ধরনের পেঁয়াজে ১০ টাকা কমেছে। তবে পেঁয়াজে দাম কমলে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে।

ক্রেতারা জানান, পেঁয়াজের কেজি যেখানে ১৪০ ছুঁই ছুঁই সেখানে ১০ টাকা কম কোনও দাম কমার মধ্যে পড়ে না। আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতিনিয়ত বাজারে আসছে। নতুনভাবে আমদানি করা হচ্ছে, তাহলে দাম কেন কমবে না?।

এদিকে, সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেলে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিদিন ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি ট্রাকসেলে অব্যাহত রয়েছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ট্রাকসেলে বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

এদিকে, সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে রাজধানীর শ্যামবাজার বণিক সমিতি। পাইকারী ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারের পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি করবেন। এছাড়া মিশর, তুরস্ক ও চীনের পেঁয়াজের কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যে কারণে পুরুষে ৪টি বিয়ের পক্ষে হীরা সুমরো

সহসাই পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই : বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট: ০৯:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯
অনলাইন ডেস্ক:

সহসাই পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসলে তবেই দম কমবে। এর আগে ১০০ টাকার নিচে পেঁয়াজ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে।

আজ শুক্রবার সকালে রংপুর নগরীর একটি হোটেলে ইটভাটা মালিকদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে আমরা মূলত পেঁয়াজ আমদানি করে থাকি। সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। সেখানেই পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে। আমাদের দেশে আসার পর তা ১০০ টাকা দর পড়ে যাবে। ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে আপাতত কোনও লাভ নেই।

তিনি বলেন, তবে মিশর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসার কথা। সেটা আসলেও দাম একটু কমতে পারে। এছাড়া,পেঁয়াজের বাজার মনিটরিংয়ে মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

এদিকে, গত কয়েক মাস ধরে রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে উঠা-নামা করা পেঁয়াজের বাজার গত দুদিনে কিছুটা কমেছে। দুদিন আগেও যে পেঁয়াজ ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, তা কমে এখন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কিছুটা কমলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন ক্রেতারা। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিল, খিলগাঁও, ফকিরাপুল, সেগুনবাগিচা ও রামপুরা কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এসব বাজারে দেখা যায়, বাজারভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এসব বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি আমদানি করা ভারতীয় (বড়) পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ (ছোট) প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি সব ধরনের পেঁয়াজে ১০ টাকা কমেছে। তবে পেঁয়াজে দাম কমলে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে।

ক্রেতারা জানান, পেঁয়াজের কেজি যেখানে ১৪০ ছুঁই ছুঁই সেখানে ১০ টাকা কম কোনও দাম কমার মধ্যে পড়ে না। আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতিনিয়ত বাজারে আসছে। নতুনভাবে আমদানি করা হচ্ছে, তাহলে দাম কেন কমবে না?।

এদিকে, সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেলে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিদিন ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি ট্রাকসেলে অব্যাহত রয়েছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ট্রাকসেলে বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

এদিকে, সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে রাজধানীর শ্যামবাজার বণিক সমিতি। পাইকারী ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারের পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি করবেন। এছাড়া মিশর, তুরস্ক ও চীনের পেঁয়াজের কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হবে।