শাহরাস্তিতে সড়ক নির্মাণের অনিয়ম বন্ধ করতে সেতু মন্ত্রীকে সাংসদের ডিও

  • আপডেট: ০১:৩৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯
  • ৪৩

মোঃ জামাল হোসেনঃ

শাহরাস্তিতে প্রধান সড়ক দুটি নির্মানের অনিয়মে সেতু মন্ত্রীকে ডিও দিয়েছেন মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, সম্প্রতি চাঁদপুর সড়ক বিভাগের অধীনে রাস্তা দুটি নির্মানে অনিয়ম প্রসঙ্গে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য-উপাত্ত নিশ্চিতের ভিত্তিতে স্থানীয় সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়মও প্রস্তাবিত সুপারিশ বাস্তবায়নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির নিকট ডিও পত্র দিয়েছেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত ব্যাপক অনিয়মে লিপ্ত রয়েছে। তার মধ্যে মানহীন পোড়া মাটি, ইটের পরিবর্তে ব্যবহার অযোগ্য সুড়কী, শেওলা যুক্ত পাথর, রাবিশ, পাথরের বদলে বালির পরিমান বেশি দিয়ে কোন তোয়াক্কা না করেই রাস্তা প্রস্তুত করনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এমনকি রাস্তা প্রশস্তকরনের ক্ষেত্রে পুকুরের পাশে কোন ধরনের ভাঙ্গনরোধের ব্যবস্থা না করা এবং রাস্তা পরিষ্কার না করে যেনতেন ভাবে পিচ ঢালাইয়ের কাজ করছে। যাতে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ধসে পড়ার সম্ভাবনা করয়েছে। রাস্তার কার্পেটিং প্রয়োজন মত দেয়া হচ্ছে না। রাস্তা প্রস্তুত করনের ক্ষেত্রে ১৮ফিট করার কথা থাকলেও কোন কোন স্থানে ১৩ বা ১৪ ফিট কাজ করছে। তারা ১৮ ফিটের টাকা নিয়ে যাচ্ছে।

মুদাফফরগঞ্জ-চিতোষী রামগঞ্জ মহাসড়কের অংশে (০৩)টি ব্রীজ (১) স্বেতীনারায়নপুর মোল্লার দর্জা সংলগ্ন ব্রীজ (২) উঘারিয়া পূর্ব বাজার সংলগ্ন ব্রিজ, (৩) কালঁচৌ গ্রাম সংলগ্ন ব্রীজ ভেঙ্গে নতুন ভাবে বানানো কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রীজ গুলো নতুন ভাবে তৈরি না করে, পুরানো ব্রিজ গুলো সামান্য মেরামত ও প্রলেপ দিয়েই কাজ সমাপ্ত করে। তিনটি ব্রীজের পুরো টাকাই তারা তুলে নিয়েছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এছাড়া গত ৩ সেপ্টম্বর অপর একটি পত্রে সড়কগুলো বিষয়ে একটি প্রস্তাবণা ও সুপারিশ প্রেরণ করেন। এতে উল্লেখ করেন, জলাশয় এলাকায় রাস্তার পাশে গার্ড ওয়াল বা প্যালাসাইডিং এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, যেসব স্থানে রাস্তাগুলো বাজারের মধ্যে বা নিচু এলাকায় সেখানে বিটুমিনের রাস্তা না করে কনর্কিট আরসিসি এর তৈরি প্রয়োজন। শাহরাস্তি পৌর এলাকায় পাকা ড্রেন নির্মিত হয়েছে।

সড়ক ও জনপদ এর রাস্তাগুলো ১৮ ফিট চওড়া হলে ড্রেনের ওয়াল পর্যন্ত কয়েক ফিট জায়গা খালি ও নিচু থাকবে। সেখানে পানি জমে রাস্তা নষ্ট হবে। দোয়াভাঙ্গা থেকে রেললাইন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ফিট মাত্র। এই অংশে রাস্তাটি ১৮ফিট থেকে বাড়িয়ে পাকা ড্রেনের ওয়ালের সাথে মিশিয়ে দিয়ে পানি জমার সম্ভাবনা থাকবেনা। চওড়াও মাদ্র ৬বা৭ ফিট বাড়াতে হবে দৈর্ঘ্য ৩শ ফিট হতে পারে।

এই সংশৌধনী কাজগুলো করতে সরকারের অতি সামান্য অর্থ ব্যয় হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাতে রাস্তাগুলো বহু বৎসর ভালো থাকবে এবং ভবিষ্যতে মেরামত বাবদ অর্থের অপচয় হবে না।
এ ব্যাপারে আপনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন এই প্রত্যাশা করছি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী’র সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম

শাহরাস্তিতে সড়ক নির্মাণের অনিয়ম বন্ধ করতে সেতু মন্ত্রীকে সাংসদের ডিও

আপডেট: ০১:৩৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯

মোঃ জামাল হোসেনঃ

শাহরাস্তিতে প্রধান সড়ক দুটি নির্মানের অনিয়মে সেতু মন্ত্রীকে ডিও দিয়েছেন মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, সম্প্রতি চাঁদপুর সড়ক বিভাগের অধীনে রাস্তা দুটি নির্মানে অনিয়ম প্রসঙ্গে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য-উপাত্ত নিশ্চিতের ভিত্তিতে স্থানীয় সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়মও প্রস্তাবিত সুপারিশ বাস্তবায়নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির নিকট ডিও পত্র দিয়েছেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত ব্যাপক অনিয়মে লিপ্ত রয়েছে। তার মধ্যে মানহীন পোড়া মাটি, ইটের পরিবর্তে ব্যবহার অযোগ্য সুড়কী, শেওলা যুক্ত পাথর, রাবিশ, পাথরের বদলে বালির পরিমান বেশি দিয়ে কোন তোয়াক্কা না করেই রাস্তা প্রস্তুত করনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এমনকি রাস্তা প্রশস্তকরনের ক্ষেত্রে পুকুরের পাশে কোন ধরনের ভাঙ্গনরোধের ব্যবস্থা না করা এবং রাস্তা পরিষ্কার না করে যেনতেন ভাবে পিচ ঢালাইয়ের কাজ করছে। যাতে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ধসে পড়ার সম্ভাবনা করয়েছে। রাস্তার কার্পেটিং প্রয়োজন মত দেয়া হচ্ছে না। রাস্তা প্রস্তুত করনের ক্ষেত্রে ১৮ফিট করার কথা থাকলেও কোন কোন স্থানে ১৩ বা ১৪ ফিট কাজ করছে। তারা ১৮ ফিটের টাকা নিয়ে যাচ্ছে।

মুদাফফরগঞ্জ-চিতোষী রামগঞ্জ মহাসড়কের অংশে (০৩)টি ব্রীজ (১) স্বেতীনারায়নপুর মোল্লার দর্জা সংলগ্ন ব্রীজ (২) উঘারিয়া পূর্ব বাজার সংলগ্ন ব্রিজ, (৩) কালঁচৌ গ্রাম সংলগ্ন ব্রীজ ভেঙ্গে নতুন ভাবে বানানো কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রীজ গুলো নতুন ভাবে তৈরি না করে, পুরানো ব্রিজ গুলো সামান্য মেরামত ও প্রলেপ দিয়েই কাজ সমাপ্ত করে। তিনটি ব্রীজের পুরো টাকাই তারা তুলে নিয়েছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এছাড়া গত ৩ সেপ্টম্বর অপর একটি পত্রে সড়কগুলো বিষয়ে একটি প্রস্তাবণা ও সুপারিশ প্রেরণ করেন। এতে উল্লেখ করেন, জলাশয় এলাকায় রাস্তার পাশে গার্ড ওয়াল বা প্যালাসাইডিং এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, যেসব স্থানে রাস্তাগুলো বাজারের মধ্যে বা নিচু এলাকায় সেখানে বিটুমিনের রাস্তা না করে কনর্কিট আরসিসি এর তৈরি প্রয়োজন। শাহরাস্তি পৌর এলাকায় পাকা ড্রেন নির্মিত হয়েছে।

সড়ক ও জনপদ এর রাস্তাগুলো ১৮ ফিট চওড়া হলে ড্রেনের ওয়াল পর্যন্ত কয়েক ফিট জায়গা খালি ও নিচু থাকবে। সেখানে পানি জমে রাস্তা নষ্ট হবে। দোয়াভাঙ্গা থেকে রেললাইন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ফিট মাত্র। এই অংশে রাস্তাটি ১৮ফিট থেকে বাড়িয়ে পাকা ড্রেনের ওয়ালের সাথে মিশিয়ে দিয়ে পানি জমার সম্ভাবনা থাকবেনা। চওড়াও মাদ্র ৬বা৭ ফিট বাড়াতে হবে দৈর্ঘ্য ৩শ ফিট হতে পারে।

এই সংশৌধনী কাজগুলো করতে সরকারের অতি সামান্য অর্থ ব্যয় হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাতে রাস্তাগুলো বহু বৎসর ভালো থাকবে এবং ভবিষ্যতে মেরামত বাবদ অর্থের অপচয় হবে না।
এ ব্যাপারে আপনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন এই প্রত্যাশা করছি।