natunerkotha.com
কুমিল্লার বিবির বাজার সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত প্রশান্ত কুমার দাশের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। পরিবারের দাবি, প্রশান্ত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন না। তার নামে থানায় একটি মামলাও ছিল না। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে বিবির বাজার সীমান্তের সংরাইশ বেড়িবাঁধ এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রশান্ত নিহত হন। নিহত প্রশান্তের পরিবার এবং স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশান্ত কোনো মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি ভিডিওগ্রাফারের কাজ করতেন। আজ আদালতে মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন প্রশান্তের বড় ভাই ঝন্টু কুমার দাশ। নিহতের বাবা বাদল কুমার দাশ জানান, তার পাঁচ ছেলের মধ্যে প্রশান্ত সবার ছোট। নাজমুল নামে একটি ছেলে বৃহস্পতিবার বিকালে বাসা থেকে প্রশান্তকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে খবর আসে বিজিবি তাকে আটক করেছে। তারপর প্রশান্তের বাবা ও ভাই বিবির বাজার সীমান্তে বিজিবির ক্যাম্পে যান। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে খবর আসে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রশান্ত মারা গেছেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ আবির আহমেদ ফটু বলেন, প্রশান্ত ভিডিওগ্রাফারের কাজ করত। সে মাদক বা কোনো অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলÑ এরকম কিছু তার জানা নেই। কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ নুরুর রহমান বলেন, প্রশান্ত নগরীর পরিচিত মুখ ভিডিওগ্রাফার। কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুস ছালাম মিয়া বলেন, বিবির বাজার সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রশান্ত কুমার দাশের নামে থানায় কোনো মামলা নেই। তবে আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলি এলাকার বাদল চন্দ্র দাশের ছেলে প্রশান্ত কুমার দাশকে বৃহস্পতিবার বিকালে আটক করা হয়। মাদকদের একটি চালান যাবেÑ এ স্বীকারোক্তি অনুসারে তাকে নিয়ে গভীর রাতে বিজিবি বিবির বাজার সীমান্তে অভিযান চালায়। এ সময় আগ থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের একটি দল বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। বিজিবি পাল্টা গুলি চালালে প্রশান্ত আহত হন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।