• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২১ মার্চ, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ২১ মার্চ, ২০২০

১ এপ্রিল হচ্ছেনা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা!

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অনলাইন ডেস্ক:

আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এই পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবারে এই পরীক্ষা পেছানোর ঘোষণা আসতে পারে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

ইতিমধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার খাতা, প্রশ্নপত্র সব কিছু সংশ্লিষ্ট জেলায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এর পরও ১ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু করার বাস্তব অবস্থা নেই বলে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে। বোর্ডগুলো পরীক্ষা শুরুর ব্যাপারে পূর্ণ প্রস্তুতিও নিতে পারছে না। এ ছাড়া একটি উপজেলায় ওষুধ, মুদি দোকান ছাড়া অন্য সব দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে সেটা জানা যায়নি। সেখানেও এইচএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে। যেহেতু পরীক্ষা শুরু হতে এখনো ৯ দিন বাকি আছে, তাই আরেকটু পরে সিদ্ধান্ত জানাতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, গত বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। মূলত ওই সভায়ই পরীক্ষার নিরাপত্তার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কিন্তু সেই সভা স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেক বোর্ডে গত সপ্তাহে এবং চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রসচিবদের দিকনির্দেশনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই আমরা এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। চলতি সপ্তাহেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’

সূত্র জানায়, আগামী ১ এপ্রিল বাংলা (অবশ্যিক) প্রথম পত্র দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ৪ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা হওয়ার কথা। এরপর ৫ মে ব্যাবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৩ মে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে ১১ লাখ পরীক্ষার্থীর। দুই হাজারের বেশি কেন্দ্রে পরীক্ষাসংক্রান্ত কাজে লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী জড়িত থাকেন। এক কলেজের শিক্ষার্থীদের অন্য কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সাধারণত পরীক্ষার্থীদের দূরের কলেজে যেতে হয়। এ ছাড়া পরীক্ষার সময় সাধারণত অভিভাবকরাও পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করেন। এ সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত সোমবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার সময় এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘কাছাকাছি সময়ে গিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ওই দিন দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮, গতকাল যা বেড়ে হয়েছে ২০। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতিও আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। ইউনেসকোর সর্বশেষ গত বুধবারের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয়ভাবেই ১০২টি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর ১১টি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশেও ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অবস্থার উন্নতি না হলে গ্রীষ্মকালীন এবং রোজার ছুটি সমন্বয় করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় আরো বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে করোনা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এই অবস্থায় এইচএসসি ও সমমানের মতো বড় পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে সংশয়ে আছে পরীক্ষার্থী-অভিভাবকরাও।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের বলব, তারা পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করুক। পরীক্ষা পেছাতে হলে সময় লাগবে না। চলতি সপ্তাহেই এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই নেওয়া হবে।’

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • জাতীয় এর আরও খবর
error: Content is protected !!