• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০১৯

চাঁদপুরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ১৫

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

চাঁদপুর, ১৮ নভেম্বর, সোমবার:

চাঁদপুরে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দলীয় সম্পর্কের কারনে একজন অপরজনের সাথে দুষ্টুমি করার কারনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ২ দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে দুই দফা হামলায় ও উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও পথচারীসহ কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে বলে এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে ছাত্রলীগের ৬জন নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ও বাশেঁর পিটুনিতে গুরুত্বর ভাবে রক্তাক্ত জখম হলে তাদেরকে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মারাত্বক আহত হাসপাতালে ভর্তিকৃতরা হচ্ছে- হৃদয় (২৪), মো: রাসেদ ভুঁইয়া (২০), আবির হোসেন (২১), জনি (২৫), রাজু (২৫), সাদ্দাম হোসেন (২৪) ও মো: দেলোয়ার হোসেন (৪৬)। এদের সকলের বাড়ী শহরের ১৫নং বিটি রোড, জিটি রোড, জামতলা ও ফরিদগঞ্জ চিরকা চাঁদপুর এলাকায়।

এই ঘটনায় মারাত্মকভাবে উপর্যূপুরি ৪টি ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম হৃদয় (২৪)কে ১৫টি সেলাই দিয়ে মূমূর্ষু অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক মো: আনিছুর রহমান ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেছে। ঘটনার পর পর চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নাছিম উদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: আতাউর রহমান পারভেজসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আহতদেরকে হাসপাতালে দেখতে ছুটে আসেন এবং খোজ খবর নেন।

রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ও রাত সাড়ে ৮টায় শহরের বড় স্টেশন ও রেলওয়ে মাদ্রাসা রোডস্থ রাস্তার উপরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সাথে শহরের ব্যাংক কলোনীর অপু, নয়ন, নাজমুল ও রিয়াদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে নিশ্চিত করেছে মডেল থানা পুলিশ।

সংঘর্ষ ও আহতের ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ছাত্রলীগের উপর আক্রমনকারী চিহিৃত ছাত্রলীগ নামদারী যুবকবদেরকে আটকের জন্য ব্যাপক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়াদের আটকের জন্য হন্য হয়ে খুঁজছে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রিরাজ করছে।

প্রত্যাক্ষদর্শী ও আহত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগের কয়েক জন নেতাকর্মী শহরের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত বড় স্টেশন রেলওয়ে এলাকায় ঘুরতে যায়। সেখানে গিয়ে পূর্বপরিচিত ছাত্রলীগনামদারী কয়েকজন যুবকের সাথে দেখা হয়। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের নেতা হৃদয় তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলে, সারাক্ষনওইকি এখানে পড়ে থাকছ নাকি। এ কথা নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উপস্থিত এলাকাবাসী তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার জন্য তাৎক্ষনিক ছাড়িয়ে দিয়ে ঘটনাস্থর ত্যাগ করায়। এরই মধ্যে পূর্বপরিচিত কয়েকজন যুবক শহরের নিশি বিল্ডিং, কাচ্চা কলোনী ও ৩নং কয়লা ঘাট এলাকার ১০/১২ জন যুবকসহ পরিকল্পিত ভাবে শহরের বড় স্টেশন এলাকার মাদ্রাসা রোডস্থ এলাকায় দল বেধে বসে থাকে।

রাত অনুমান সাড়ে ৮টায় ছাত্রলীগের ৯ জন নেতাকর্মী মাদ্রাসা রোড এলাকা দিয়ে মোটর সাইকেল যোগে যাওয়ার সময় পরিকল্পিত ভাবে ওৎপেতে বসে থাকা যুবকরা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা কিছু বুঝে উঠার আগেই তাদের চলন্ত মোটর বাইকেল উপর বাশেঁর লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন চালায়।

ছাত্রলীগ নামদারী বখাটে যুবকরা তাদের উপর এলোপাতাড়িভাবে আক্রমন করে তাদেরকে উপর্যূপুরি ভাবে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম ও তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মকভাবে আঘাত করে গুরুতরভাবে আহত করে। সংঘর্ষে পথচারীসহ কমপক্ষে ১৫জন আহত হন। ঘটনা ঘটিয়ে ছাত্রলীগ নামদারী বখাটে যুবকরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী গুরুত্বর আহত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ অন্য আহতদেরকে উদ্দার করে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।

দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ও বাশেঁর লাঠির আঘাতে আহতদের মাথা,কপাল,পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় (২৪)কে মূমূর্ষু অবস্থায় প্রায় ১৫টির মতো সিলাই দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে রাত পৌনে ১০টায় রেফার করা হয়। ভর্তিকৃত বাকী আহতদেরকে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকী আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনিছুর রহমান জানান, আহত হৃদয়ের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ফলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তার শরীরে কয়েকটি ছুরিকাঘাত করায় অনেক গুলো সেলাই দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সোমবার রাত সাড়ে ৬টায় চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নাছিম উদ্দিন জানান, কোন কারন ছাড়াই ঘটনা ঘটে। নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি নিয়ে এ ঘটনা হয়। আসামী চিহ্নিত হয়েছে। কাগজ পত্র ঠিক করে আহতরা মামলা করবে। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!