চাঁদপুর, শনিবার, ১২ অক্টোব:
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাংগঠনিক রাজনীতি চলবে কি না সে বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। শনিবার সকালে চাঁপদুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন, যেই বিশ^বিদ্যালয়গুলো ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ দিয়ে চলে তারা তাদের অধ্যাদেশ অনুযায়ী এবং বাকি বিশ^বিদ্যালয়গুলো প্রতিটি
তাদের নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে সাংগঠনিক রাজনীতি চলবে না বন্ধ হবে তা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়।
দীপু মনি বলেন, বুয়েটে যেই ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে রাজনীতি হয়তো অপরাজনীতি, ক্ষমতারনঅপব্যবহার সবকিছু হয়তো একটি ভূমিকা
পালন করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আবাসিক হলগুলোতে র্যাগিং, বুলিং এর অপসংস্কৃতি ছিলো দীর্ঘদিন ঘরে, যেটি পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই
আছে এবং তা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। সেটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে বুয়েটের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের আগে থেকেই যদি একটু উদ্যোগ থাকতো তাহলে এই
ধরনে ঘটনা ঘটতো না।
মন্ত্রী বলেন, সকল ক্ষেত্রে রাজনীতিকে দোষ দিলে হবে না। রাজনীতি ছাড়া দেশ চলে? আপনি যা কিছু করবেন তা রাজনৈকিত সিদ্ধান্তেই চলে। কিন্তু রাজনীতিটা যেন সুষ্ঠু হয়, সুস্থ্য ধারার হয়। রাজনীতিকে যেন কেউ ক্ষমতার
হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কোন অপকৃতি করতে না পারে। এটির জন্য রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি সমাজের সকলকে সচেতন হতে হবে। আর এক্ষেত্রে গণমাধ্যম কর্মীদেরও একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল।
পরে দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি চাঁদপু জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।