আব্রার হত্যায় জড়িত কেউ ছাড় পাবে না:প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

  • আপডেট: ০৬:০১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না, শাস্তি পেতেই হবে। সকলের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছি।’

আজ মঙ্গলবার রাতে গণভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত বৈঠকে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গণভবনে উপস্থিত একাধিক নেতা তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার রাতে প্রায় এক ঘণ্টা দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীল কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকাণ্ডকে খুবই সিরিয়াসলি নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অত্যন্ত মর্মাহত ছিলেন বৈঠকের পুরো সময়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কাদের নির্দেশে এটা হয়েছে-সব খুঁজে বের করা হবে। খবরটি শোনার সাথে সাথে আমি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছি। ’

আবরার হত্যার একদিন পর বুয়েট উপাচার্যের ক্যাম্পাসের উপস্থিতি নিয়েও উষ্মা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি কেমন ভিসি? একটা ছাত্র মারা গেল আর এতটা সময় তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলেন।’

তবে বুয়েটের এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে-সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া বৈঠকে আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো তারিখ চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।

এদিকে বুয়েটের হত্যাকাণ্ডসহ সার্বিক বিষয়ে বুধবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ সংবাদ সম্মেলন করবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

তিনি রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নেত্রীর নির্দেশনা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাব আমরা। কোনো অপরাধীর স্থান নেই ছাত্রলীগে। অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

আব্রার হত্যায় জড়িত কেউ ছাড় পাবে না:প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

আপডেট: ০৬:০১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না, শাস্তি পেতেই হবে। সকলের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছি।’

আজ মঙ্গলবার রাতে গণভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত বৈঠকে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গণভবনে উপস্থিত একাধিক নেতা তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার রাতে প্রায় এক ঘণ্টা দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীল কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকাণ্ডকে খুবই সিরিয়াসলি নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অত্যন্ত মর্মাহত ছিলেন বৈঠকের পুরো সময়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কাদের নির্দেশে এটা হয়েছে-সব খুঁজে বের করা হবে। খবরটি শোনার সাথে সাথে আমি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছি। ’

আবরার হত্যার একদিন পর বুয়েট উপাচার্যের ক্যাম্পাসের উপস্থিতি নিয়েও উষ্মা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি কেমন ভিসি? একটা ছাত্র মারা গেল আর এতটা সময় তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলেন।’

তবে বুয়েটের এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে-সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া বৈঠকে আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো তারিখ চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।

এদিকে বুয়েটের হত্যাকাণ্ডসহ সার্বিক বিষয়ে বুধবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ সংবাদ সম্মেলন করবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

তিনি রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নেত্রীর নির্দেশনা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাব আমরা। কোনো অপরাধীর স্থান নেই ছাত্রলীগে। অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’