ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বাড়িওয়ালার স্ত্রীর কর্তৃক তার ভাড়াটিয়া রেহানা পারভীন(২৮) নামে চার সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পেটে সজোরে লাথি মারার কারণে গুরুতর আহত হয়ে গত সাতদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে ঢাকার হলি ফ্যামেলী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
পরে ওই দিন সন্ধ্যায় লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ তা উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠায়। এঘটনায় নিহতের মা পানোয়ারা বেগম পানু বাদী হয়ে মঙ্গলবার ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ পৌর সভার কাছিয়াড়া গ্রামের পাটওয়ারী বাড়িতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঘটে।
নিহতের মা পানোয়ারা বেগম জানান, কাছিয়াড়া গ্রামের রফিক পাটওয়ারীর বাড়িতে গত দুই বছর যাবত চার সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন তার মেয়ে প্রবাসীর স্ত্রী রেহানা পারভীন। বাড়ীর মালীকের স্ত্রী খুকি বেগমের সাথে বিভিন্ন খুঁটি-নাটি বিষয় নিয়ে মনমালিন্য হতো তার। গত ২৭ সেপ্টেম্বর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রেহানা পারভীনকে পেটে লাথি দেয় খুকি বেগম। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে।
পরে অসুস্থ অবস্থায়ন প্রথমে ফরিদগঞ্জ ডায়েবেটিস হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করে। পরে সেখান থেকে ঢাকার হলিফ্যামেলী হাসপাতালে চিকিৎসধীন থাকা অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন রেহানার পেটে লাথি দেয়ার কারনে জরায়ু ফেটে যায়। ফলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের মা পানোয়ারা বেগম পানু বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।