হাজীগঞ্জের বলাখাল চৌধুরী বাড়িতে মহালয়া অনুষ্টিত

  • আপডেট: ০১:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৩০

সুজন দাস:
শুভ মহালয়া উপলক্ষ্যে এই বছর প্রথম বারের মতে গতকাল শনিবার হাজীগঞ্জের বলাখাল চৌধুরী বাড়িতে মহালয়া অনুষ্টিত হয়। ভোর থেকে কার্যক্রম শুরু হয়ে গ্রামের ও বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক ভক্তের আগ্রমনে ভারী হতে থাকে চৌধুরী বাড়ি। বিভিন্ন বয়সের মা, বোন ও শিক্ষার্থীদের আগ্রমন হয় এই মহালয়া। দেবী পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের শুরু করে আজকের এই মহালয়ার মাধ্যমে। একইসঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসবের পূণ্যলগ্নেরও শুরু হল গতকাল থেকে। সনাতন ধর্ম্বাবলম্বীদের বিশ্বাস মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গা পা রেখেছেন মর্ত্যলোকে। বলাখাল উক্ত অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলে চাঁদপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল সাহা তিনি বলেন, দূর্গা মা কে বরণ করে নিতে আজ আমাদের এই আরাধনা। অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হওয়ার পর চারদিকে শুরু হয় অশুভ শক্তির প্রতাপ। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। তখন দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। মহালয়ার সময় ঘোর অমাবস্যায় দুর্গা দেবীর মহাতেজের আলোয় সেই অমাবস্যা দূর হয়। প্রতিষ্ঠা পায় শুভশক্তি। দুর্গপূজার উপর নানা দিক আলোচনা করেন তিনি।
বলাখাল পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও চৌধুরী বাড়ী পূজা মন্ডেপে সভাপতি সুখেন্দ্র রায় চৌধুরীর সভাপত্বিতে তিনি বলেন, হিমালয়ের কৈলাশ থেকে সুদূর পথ পাড়ি দিয়ে প্রতিবছর দুর্গা দেবী আসেন সমতল ভূমির এই বাংলায়। সঙ্গে নিয়ে আসেন গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে। প্রতিবছরের শরৎকালে দেবী দুর্গার এই আগমন হয় নিজ ভূমিতে। শাস্ত্র অনুযায়ী এবছর দেবী দুর্গা আসছেন নৌকায় চড়ে, পাঁচদিন ভক্তদের মাঝে অবস্থান করে ঘোড়ায় চড়ে প্রস্থান করবেন তিনি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর জেলার শারদাঞ্জলি ফোরামের সভাপতি রিপন সাহা তিনি বলেন, আমরা মায়ের পূজা করবো স্বার্থিক মতে। ময়ের পূজা হবে নিবির ও মনব সেবা নিয়ে আমরা এই পূজা সম্পন্ন করবো। ভোর ৫টা থেকে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহালয়ার চন্ডীকা পাঠ করেন দ্বিপংকর চক্রবর্ত্তী সৌকত, মানিক সরকার অনুষ্টান পরিচালনায় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মাঝে চন্ডী পাঠ প্রতিযোগীর মাধ্যমে সকাল ৯টা উক্ত অনুষ্টান সম্পন্ন হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজন দাস, এতে আরো সহযোগীতা করেন গণেশ চক্রবর্ত্তী, অন্তার সাহা,
উপস্থিত ছিলো হাজীগঞ্জ উপজেলার শারদাঞ্জলি ফোরামের সভাপতি সভাপতি প্রণব কুমার সাহা, সদস্য দিপু পোদ্দার, হাজীগঞ্জ হিন্দু পরিবারের নেতা মিঠুন দাসসহ অনেক ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলো। উৎসবে সমাপ্তিতে দেশ ও জাতীর জন্য প্রার্থনা ও মাহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

হাজীগঞ্জের বলাখাল চৌধুরী বাড়িতে মহালয়া অনুষ্টিত

আপডেট: ০১:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সুজন দাস:
শুভ মহালয়া উপলক্ষ্যে এই বছর প্রথম বারের মতে গতকাল শনিবার হাজীগঞ্জের বলাখাল চৌধুরী বাড়িতে মহালয়া অনুষ্টিত হয়। ভোর থেকে কার্যক্রম শুরু হয়ে গ্রামের ও বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক ভক্তের আগ্রমনে ভারী হতে থাকে চৌধুরী বাড়ি। বিভিন্ন বয়সের মা, বোন ও শিক্ষার্থীদের আগ্রমন হয় এই মহালয়া। দেবী পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের শুরু করে আজকের এই মহালয়ার মাধ্যমে। একইসঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসবের পূণ্যলগ্নেরও শুরু হল গতকাল থেকে। সনাতন ধর্ম্বাবলম্বীদের বিশ্বাস মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গা পা রেখেছেন মর্ত্যলোকে। বলাখাল উক্ত অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলে চাঁদপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল সাহা তিনি বলেন, দূর্গা মা কে বরণ করে নিতে আজ আমাদের এই আরাধনা। অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হওয়ার পর চারদিকে শুরু হয় অশুভ শক্তির প্রতাপ। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। তখন দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। মহালয়ার সময় ঘোর অমাবস্যায় দুর্গা দেবীর মহাতেজের আলোয় সেই অমাবস্যা দূর হয়। প্রতিষ্ঠা পায় শুভশক্তি। দুর্গপূজার উপর নানা দিক আলোচনা করেন তিনি।
বলাখাল পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও চৌধুরী বাড়ী পূজা মন্ডেপে সভাপতি সুখেন্দ্র রায় চৌধুরীর সভাপত্বিতে তিনি বলেন, হিমালয়ের কৈলাশ থেকে সুদূর পথ পাড়ি দিয়ে প্রতিবছর দুর্গা দেবী আসেন সমতল ভূমির এই বাংলায়। সঙ্গে নিয়ে আসেন গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে। প্রতিবছরের শরৎকালে দেবী দুর্গার এই আগমন হয় নিজ ভূমিতে। শাস্ত্র অনুযায়ী এবছর দেবী দুর্গা আসছেন নৌকায় চড়ে, পাঁচদিন ভক্তদের মাঝে অবস্থান করে ঘোড়ায় চড়ে প্রস্থান করবেন তিনি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর জেলার শারদাঞ্জলি ফোরামের সভাপতি রিপন সাহা তিনি বলেন, আমরা মায়ের পূজা করবো স্বার্থিক মতে। ময়ের পূজা হবে নিবির ও মনব সেবা নিয়ে আমরা এই পূজা সম্পন্ন করবো। ভোর ৫টা থেকে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহালয়ার চন্ডীকা পাঠ করেন দ্বিপংকর চক্রবর্ত্তী সৌকত, মানিক সরকার অনুষ্টান পরিচালনায় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মাঝে চন্ডী পাঠ প্রতিযোগীর মাধ্যমে সকাল ৯টা উক্ত অনুষ্টান সম্পন্ন হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজন দাস, এতে আরো সহযোগীতা করেন গণেশ চক্রবর্ত্তী, অন্তার সাহা,
উপস্থিত ছিলো হাজীগঞ্জ উপজেলার শারদাঞ্জলি ফোরামের সভাপতি সভাপতি প্রণব কুমার সাহা, সদস্য দিপু পোদ্দার, হাজীগঞ্জ হিন্দু পরিবারের নেতা মিঠুন দাসসহ অনেক ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলো। উৎসবে সমাপ্তিতে দেশ ও জাতীর জন্য প্রার্থনা ও মাহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে।