অনলাইন ডেস্ক:
রকেট হামলার সাইরেনে নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
দখলদার রাষ্ট্রটির বিমানবাহিনী জানিয়েছে, অস্ত্র উৎপাদন কারখানা ও একটি নৌ স্থাপনাসহ অন্তত ১৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তারা।
এগুলো ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ব্যবহার করত বলে খবরে বলা হয়েছে। তবে এ হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে রকেট হামলার সতর্কতা সাইরেন শুনে নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন নেতানিয়াহু।
মঙ্গলবার রাতে বন্দরনগরী আশদোদে একটি নির্বাচনী প্রচারের সময় এমন ঘটনা ঘটেছে। টাইমস অব ইসরাইলের খবরে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে রকেট হামলা চালালে দক্ষিণাঞ্চলের শহরটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আশদোদ ও পার্শ্ববর্তী আশকেলনে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আয়রন ডোম দিয়ে দুটি রকেট গুলি করে ধ্বংস করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে ব্যর্থ হওয়ার পর উদ্বেগের কারণে চিকিৎসা নিতে হয়েছে ৪৬ বছর বয়সী এক নারীকে।
সাধারণ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে আশদোদের নির্বাচনী প্রচারণা সমাবেশে ভাষণ শুরু করেছিলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। তখনই শুরু হয় রকেট হামলার ঘটনা। তাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে তার দেহরক্ষীরা মঞ্চে জড়ো হন।
টাইমস অব ইসরাইল জানায়, রকেট হামলার সাইরেন বেজে উঠলে একঝাঁক নিরাপত্তারক্ষী বূহ্য তৈরি করে তাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যান।
মঞ্চ থেকে নামার সময় সমাবেশে জড়ো হওয়া লোকজনকে তিনি বলেন, আপনারা নীরবে চলে যান।
কয়েক মিনিট পর এসে নেতানিয়াহু মঞ্চে ফিরে ফের ভাষণ শুরু করেন।
তার ডানপন্থী লিকুড পার্টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করছিল, তখন নেতানিয়াহুর মঞ্চ ছাড়ার ঘটনাটিও সরাসরি দেখা যায়।
ভাষণে ১৭ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ফের জয় পেলে অধিকৃত পশ্চিমতীরের একটি অংশ ইসরাইলে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়ার একটি পরিকল্পনা ঘোষণার কিছুক্ষণ পর রকেট হামলা হয়।
প্রধানমন্ত্রী মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন, এটি দেখার পর তার রাজনৈতিক বিরোধীরা দক্ষিণ ইসরাইলে সীমান্তের অন্য পাশ থেকে চালানো রকেট হামলা থামাতে নেতানিয়াহু যথেষ্ট পদক্ষেপ নেননি বলে সমালোচনা শুরু করেন।