ঈদের দিন কাশ্মীরে গুলি, বন্ধ মসজিদ: বিবিসি

  • আপডেট: ০২:৫৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০১৯
  • ৫০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরে গুলি চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। বড় বড় কোনো মসজিদ বা প্রধান রাস্তায় দেওয়া হয়নি ঈদের জমায়েতের অনুমতি। সোমবার নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর দিয়েছে বিবিসি।

গত দুদিন ধরে বলা হচ্ছে ঈদের আগেই কারফিউ শীতল থাকবে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আনা হবে। আসলে হচ্ছে তার উল্টোটা। রাস্তায় দেখা যাচ্ছে পুলিশের গাড়ি মাইকিং করে বেড়াচ্ছে, কেউ যেন কারফিউতে বাড়ি থেকে না বেরোয়।

কাশ্মীর উপত্যকা থেকে বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, জামিয়া মসজিদ বা হজরতবালের মতো প্রধান মসজিদগুলোতে কোনো বড় ঈদ জামাতের অনুমতি দেওয়া হয়নি। মানুষকে বলা হয়েছে, নিজেদের মহল্লার ছোট মসজিদেই যেন তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এদিকে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ শ্রীনগরের একটি মসজিদের ভেতর ঈদের নামাজ পড়ছেন, তবে সেখানেও বড়জোর ৭০ বা ৮০ জনের মতো ছিলেন।

এর মধ্যে খবর এসেছে, পুলিশের পেলেট গান বা ছররা বন্দুকের গুলিতে আহত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে সরকার সে কথা অস্বীকার করছে।

গুলিতে জখম হয়ে হাসপাতালে কেউ ভর্তি আছেন কি না, বিবিসির এ প্রশ্নের সরাসরি জবাব এড়িয়ে গিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের এক মুখপাত্র দাবি করেন পুলিশ এখনও পর্যন্ত একটা বুলেটও চালায়নি।

ঈদের আগে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। টাকা-পয়সা হাতে পাবেন ভেবে তারা আশায় আশায় ছিলেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহের পরিস্থিতি তাদের ভীষণ নিরাশ করেছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

ঈদের দিন কাশ্মীরে গুলি, বন্ধ মসজিদ: বিবিসি

আপডেট: ০২:৫৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরে গুলি চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। বড় বড় কোনো মসজিদ বা প্রধান রাস্তায় দেওয়া হয়নি ঈদের জমায়েতের অনুমতি। সোমবার নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর দিয়েছে বিবিসি।

গত দুদিন ধরে বলা হচ্ছে ঈদের আগেই কারফিউ শীতল থাকবে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আনা হবে। আসলে হচ্ছে তার উল্টোটা। রাস্তায় দেখা যাচ্ছে পুলিশের গাড়ি মাইকিং করে বেড়াচ্ছে, কেউ যেন কারফিউতে বাড়ি থেকে না বেরোয়।

কাশ্মীর উপত্যকা থেকে বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, জামিয়া মসজিদ বা হজরতবালের মতো প্রধান মসজিদগুলোতে কোনো বড় ঈদ জামাতের অনুমতি দেওয়া হয়নি। মানুষকে বলা হয়েছে, নিজেদের মহল্লার ছোট মসজিদেই যেন তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এদিকে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ শ্রীনগরের একটি মসজিদের ভেতর ঈদের নামাজ পড়ছেন, তবে সেখানেও বড়জোর ৭০ বা ৮০ জনের মতো ছিলেন।

এর মধ্যে খবর এসেছে, পুলিশের পেলেট গান বা ছররা বন্দুকের গুলিতে আহত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে সরকার সে কথা অস্বীকার করছে।

গুলিতে জখম হয়ে হাসপাতালে কেউ ভর্তি আছেন কি না, বিবিসির এ প্রশ্নের সরাসরি জবাব এড়িয়ে গিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের এক মুখপাত্র দাবি করেন পুলিশ এখনও পর্যন্ত একটা বুলেটও চালায়নি।

ঈদের আগে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। টাকা-পয়সা হাতে পাবেন ভেবে তারা আশায় আশায় ছিলেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহের পরিস্থিতি তাদের ভীষণ নিরাশ করেছে।