ফরিদগঞ্জে প্রবাসির স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

  • আপডেট: ০৮:২৫:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯
  • ৫৯

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের রূপসা ইউনিয়নের চরমগুয়া গ্রামে মিসু আক্তার (২০) নামে এক প্রবাসির স্ত্রীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা।

সোমবার (২৯ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে ওই গ্রামের ফরমান আলী মিজি বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মিসু ওই বাড়ীর মৃত সেলিম মিজির কন্যা। প্রায় একবছর আগে মিসুর পাশ^বর্তী সন্তোষপুর গ্রামের কাতার প্রবাসী এক ছেলের সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু মিসু বাবার বাড়ীতেই থাকতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলমগীর জানান, ভোরে মিসুর মা সালেহা বেগম তার ছোট দুই ভাইকে মক্তবে পড়ার জন্যে নিয়ে যান। ওই সময় মিসু ঘরে একাছিলো। ঠিক ওই মুহুর্তে একই গ্রামের বাসার খানের ছেলে সুজন খান (২৫) সহ সংঘবদ্ধ কয়েকজন অতর্কিতভাবে চাপাতি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মিসুকে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিকৎকার শুনে মা সালেহা বেগম এগিয়ে এসে হামলাকারীদের ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে মিসুকে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় দাউদকান্দি এলাকায় সকাল ১০টায় মৃত্যুবরণ করেন।

মিসুর সম্পর্কে চাচা সাবেক ইউপি সদস্য সেকান্দর মিয়াজী জানান, ঘটনার সময় আমরা ছিলাম না। খবর পেয়ে জানতে পারি মিসুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।

চরমগুয়া গ্রামের ইউপি সদস্য ভুট্টো মিয়া জানান, খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে ওই বাড়ীতে গিয়েছি। পুলিশ এসে সকল তথ্য নিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই হামলাকারী যুবকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অহিদুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে জানাযাবে কিভাবে এবং কি কারণে মিসু আক্তার নিহত হয়েছেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে খাঁটি গরুর দুধ বিক্রর নামে প্রতারণা

ফরিদগঞ্জে প্রবাসির স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট: ০৮:২৫:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের রূপসা ইউনিয়নের চরমগুয়া গ্রামে মিসু আক্তার (২০) নামে এক প্রবাসির স্ত্রীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা।

সোমবার (২৯ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে ওই গ্রামের ফরমান আলী মিজি বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মিসু ওই বাড়ীর মৃত সেলিম মিজির কন্যা। প্রায় একবছর আগে মিসুর পাশ^বর্তী সন্তোষপুর গ্রামের কাতার প্রবাসী এক ছেলের সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু মিসু বাবার বাড়ীতেই থাকতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলমগীর জানান, ভোরে মিসুর মা সালেহা বেগম তার ছোট দুই ভাইকে মক্তবে পড়ার জন্যে নিয়ে যান। ওই সময় মিসু ঘরে একাছিলো। ঠিক ওই মুহুর্তে একই গ্রামের বাসার খানের ছেলে সুজন খান (২৫) সহ সংঘবদ্ধ কয়েকজন অতর্কিতভাবে চাপাতি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মিসুকে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিকৎকার শুনে মা সালেহা বেগম এগিয়ে এসে হামলাকারীদের ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে মিসুকে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় দাউদকান্দি এলাকায় সকাল ১০টায় মৃত্যুবরণ করেন।

মিসুর সম্পর্কে চাচা সাবেক ইউপি সদস্য সেকান্দর মিয়াজী জানান, ঘটনার সময় আমরা ছিলাম না। খবর পেয়ে জানতে পারি মিসুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।

চরমগুয়া গ্রামের ইউপি সদস্য ভুট্টো মিয়া জানান, খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে ওই বাড়ীতে গিয়েছি। পুলিশ এসে সকল তথ্য নিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই হামলাকারী যুবকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অহিদুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে জানাযাবে কিভাবে এবং কি কারণে মিসু আক্তার নিহত হয়েছেন।