• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দেশের সর্বচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য,দেখার যেন কোন কর্মকর্তা নেই

সেই‘বালুখেকো’ সেলিম খান’ চাঁদপুর নৌ-সীমানায় রাতের আধারে আবারো বালু উত্তোলন করছেন

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
প্রতিনিধির পাঠানো ছবি।

দেশের সর্বচ্চ আদালতের নির্দেশে চাঁদপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকা সত্বেও সেই আদেশকে অমান্য করে আবারও রাতের আধারে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে বেআইনিভাবে বালু উত্তোলন করছেন। কে বালু উত্তোলন করছেন,তিনি হলেন প্রভাবশালী সকলের মুখরোচন সেই বিতর্কিত মানুষটি চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেই ‘বালুখেকো ও দুদুকের মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস কারাবাস থেকে অবশেষে সেই মামলায় জামিনে থাকা সেলিম খান।

তিনি তিন মাস ধরে এক প্রকার বলতে গেলে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়েই রাতের আধারে চাঁদপুর নৌ-সীমানার সদর উপজেলা সংলগ্ন মেঘনা নদীর একাধিক স্থান হতে অবাধে অবৈধ পন্থায় পেশী শক্তি ব্যবহার করে নিজের দলবলের মাধ্যমে লাখ-লাখ টাকার বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এ বিষয়টি দেখার যেন কোন দায়িতরত্ব কর্মকর্তা নেই বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে,সেলিম খানের কাজকারবারে তাই মনে হয় ।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চাঁদপুর জেলায় কোনো বালুমহাল নেই। ফলে সেলিম খানের বালু উত্তোলনে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই।

একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে জানান, সেলিম খানের লোকজন রাত ১১টার পর থেকে মেঘনায় নদীতে তিনটি ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছেন। বালু উত্তোলনের কাজ চলে ভোর রাত ৪ কি ৫টা পর্যন্ত। পরদিন রাত পোহানোর আগেই ড্রেজারগুলো গোপন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। এতে করে মিডিয়ার সকলকে ফাঁকি দিয়ে কাজ করতে সহজ হচ্ছে। এ ছাড়া মিডিয়ার অনেকেই ছবি তুলে রিপোট করার জন্য ইচ্ছা থাকলেও জীবনে মায়ায় সেখানে যাওয়াায় সাহস পাচ্ছেনা। মিডিয়ার মাঝে একটি কথা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে,সেখানে গেলে গুলি করে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে। যে কারনে কোন মিডিয়া ব্যক্তি কেন কোন সচেতন নাগরিক প্রতিবাদ করার মনবল থাকলেও নিমিষেই চুপ হয়ে পড়ছে।

স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানান, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে প্রস্তাবিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের পশ্চিম পাশে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু মজুত করে রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া চাঁদপুর পৌরসভার ৫ নাম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ঢালীরঘাটেও বালু সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে। এখানে সেলিম খানের সহোদর টেলু খানের বালু বিক্রির ্বিশাল জায়গা রয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন অবাধে বালু বিক্রি করা হয়ে থাকে।

সম্প্রতি সেলিম খান দুদকের মামলায় জেল খেটে বের হওয়ার পর কিছুদিন নীরব থেকেছেন। এখন তার বুকের পাটা অনেক বড় হয়ে পড়ায় সাহস বেড়ে যাওয়ায় আবারও বালু উত্তোলনের কাজ শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন চাঁদপুরসংলগ্ন পদ্মা ও মেঘনার ৭০ কিলোমিটার এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিপুল অর্থকড়ি কামিয়েছেন বহিষ্কৃত এই আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম খান।

এ ব্যাপারে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, মেঘনা নদীতে কোনো ধরনের বালুমহাল নেই। তাই এই নদী থেকে বালু উত্তোলন অবৈধ। বিগত কয়েক মাস হলো প্রশাসন অভিযান চালিয়ে সেলিম খানের ৩০০ ড্রেজার জব্দ করে ছিল। আবারও তার বালু উত্তোলনের কোনো খবর পাওয়া গেলে তারা অভিযান চালাবেন।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চাঁদপুর জেলায় কোনো বালুমহাল নেই। তাই কাউকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আইন অনুযায়ী এই অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগই নেই। মাসখানেক আগে গভীর রাতে মেঘনা থেকে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে তা বন্ধ করার জন্য কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশকে জানানো হয়েছিল।

চাঁদপুরের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র নাসির উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সেলিম খান প্রতিরাতে গোপনে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন। আর লাখ-লাখ টাকা উপার্জন করছেন। স্থানীয় প্রশাসনসহ সবাইকে ম্যানেজ করে এ কাজ করছেন বলে তিনি বলে বেড়াচ্ছেন।

বিশেষ বিষয় হচ্ছে, গত বছরের আগস্টে দুর্নীতি দমন কমিশন সেলিম খানের বিরুদ্ধে ৩৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। সেই মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়ে জেলে গিয়ে কারাবাস করেছেন।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!