নার্সের অবহেলায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নবজাতকের মৃত্যু

  • আপডেট: ০১:৩০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২
  • ৩৮

কচুয়া প্রতিনিধি
কচুয়ায় প্রসূতির মতামত উপেক্ষা করে জরায়ুর সাইড সিজার করে ডেলিভারী করায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে কচুয়া পৌরসভার করইশ গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী ফারজানা আক্তারের প্রসব ব্যথা শুরু হলে স্বজনরা তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এসময় জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে বাচ্চা প্রসবের জন্য ডেলিভারী কক্ষে প্রসূতিকে প্রেরন করা হয়। নরমাল ডেলিভারী কক্ষে কর্তব্যরত নার্স মাকসুদা আক্তার প্রসূতির মতামত উপেক্ষা করে নিজের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রসূতির জরায়ুর সাইড সিজার করে। এ নিয়ে নার্স, প্রসূতি ও প্রসূতির স্বজনদের সাথে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয় এবং ডেলিভারী কার্যক্রম কিছু সময় বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে প্রসূতির নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে মৃত বাচ্চা প্রসব হয়।
প্রসূতি ফারজানা আক্তার জানান, নরমাল ডেলিভারী করতে গিয়ে আমাকে বিভিন্ন প্রকার ইনজেকশন প্রয়োগ করে আমার ইচ্ছার
বিরুদ্ধে নার্স মাকসুদা আক্তার সাইড সিজার করে মৃত বাচ্চা প্রসব করে। জরায়ু সাইড সিজার না করে সিজার অপারেশন করলে আমার সন্তান বেঁচে যেত।
নার্স মাকসুদা আক্তারের অবহেলা ও আমার মতামতের গুরুত্ব না দেয়ার কারনে মৃত বাচ্চা প্রসব হওয়ার জড়িতদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে নার্স মাকসুদা আক্তারের মুঠোফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজন কুমার দাস বলেন, ডেলিভারীর সময় প্রসূতির জরায়ুর সাইড কেটে দেয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজন ও নার্সের মধ্যে কমিউনিকেশন গ্যাফ ও ভুল বুঝাবুজি সৃষ্টি হয়। এতে করে কিছুটা সময় বিলম্বিত হওয়ায় হয়তবা মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছে। বর্তমানে প্রসূতি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

নার্সের অবহেলায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নবজাতকের মৃত্যু

আপডেট: ০১:৩০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২

কচুয়া প্রতিনিধি
কচুয়ায় প্রসূতির মতামত উপেক্ষা করে জরায়ুর সাইড সিজার করে ডেলিভারী করায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে কচুয়া পৌরসভার করইশ গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী ফারজানা আক্তারের প্রসব ব্যথা শুরু হলে স্বজনরা তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এসময় জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে বাচ্চা প্রসবের জন্য ডেলিভারী কক্ষে প্রসূতিকে প্রেরন করা হয়। নরমাল ডেলিভারী কক্ষে কর্তব্যরত নার্স মাকসুদা আক্তার প্রসূতির মতামত উপেক্ষা করে নিজের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রসূতির জরায়ুর সাইড সিজার করে। এ নিয়ে নার্স, প্রসূতি ও প্রসূতির স্বজনদের সাথে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয় এবং ডেলিভারী কার্যক্রম কিছু সময় বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে প্রসূতির নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে মৃত বাচ্চা প্রসব হয়।
প্রসূতি ফারজানা আক্তার জানান, নরমাল ডেলিভারী করতে গিয়ে আমাকে বিভিন্ন প্রকার ইনজেকশন প্রয়োগ করে আমার ইচ্ছার
বিরুদ্ধে নার্স মাকসুদা আক্তার সাইড সিজার করে মৃত বাচ্চা প্রসব করে। জরায়ু সাইড সিজার না করে সিজার অপারেশন করলে আমার সন্তান বেঁচে যেত।
নার্স মাকসুদা আক্তারের অবহেলা ও আমার মতামতের গুরুত্ব না দেয়ার কারনে মৃত বাচ্চা প্রসব হওয়ার জড়িতদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে নার্স মাকসুদা আক্তারের মুঠোফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজন কুমার দাস বলেন, ডেলিভারীর সময় প্রসূতির জরায়ুর সাইড কেটে দেয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজন ও নার্সের মধ্যে কমিউনিকেশন গ্যাফ ও ভুল বুঝাবুজি সৃষ্টি হয়। এতে করে কিছুটা সময় বিলম্বিত হওয়ায় হয়তবা মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছে। বর্তমানে প্রসূতি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে