সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন আ’লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

  • আপডেট: ১০:৩০:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯
  • ৮৬

নতুনেরকথা অনলাইন :

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগড়দাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়নের ছোট জামতলা এলাকায় তিনি দুর্বুত্তের গুলিতে নিহত হন। নজরুল আগরদাড়ি ইউনিয়নের কুঁচপুকুর গ্রামের মৃত নেছার উদ্দিনের ছেলে।

গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে পলাশ হোসেন জানান, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিরোধ ছিল বাবার। এই বিরোধের জেরেই মেম্বার তৌহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা বাবাকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছি।

তিনি আরো জানান, ২০১৩ সালের পর থেকে আজকের হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত আমাদের পরিবারের উপর বহুবার সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ২০১৩ সালে হামলায় আমার চাচা সিরাজুল ইসলাম ও ভাই যুবলীগ নেতা রাসেল নিহত হন। আমার বাবা নিরাপত্তাহীনতায় সে সময়ে সদর থানায় রাত্রিযাপন করতেন। শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হলো না। আমার বাবার খুনীদের গ্রেফতার শাস্তি চাই।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর আগরদাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি জানান, শহরের কদমতলা থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ছোট জামতলা এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে এসে পেছন থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। একটি গুলি মাথায় আরেকটি গুলি বুকে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আওয়ামী লীগ নেতা।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নজরুল ইসলাম আগরদাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও শনাক্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। কি কারণে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে এখনো কিছু নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে পুলিশের টিম মাঠে রয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন আ’লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

আপডেট: ১০:৩০:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯

নতুনেরকথা অনলাইন :

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগড়দাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়নের ছোট জামতলা এলাকায় তিনি দুর্বুত্তের গুলিতে নিহত হন। নজরুল আগরদাড়ি ইউনিয়নের কুঁচপুকুর গ্রামের মৃত নেছার উদ্দিনের ছেলে।

গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে পলাশ হোসেন জানান, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিরোধ ছিল বাবার। এই বিরোধের জেরেই মেম্বার তৌহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা বাবাকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছি।

তিনি আরো জানান, ২০১৩ সালের পর থেকে আজকের হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত আমাদের পরিবারের উপর বহুবার সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ২০১৩ সালে হামলায় আমার চাচা সিরাজুল ইসলাম ও ভাই যুবলীগ নেতা রাসেল নিহত হন। আমার বাবা নিরাপত্তাহীনতায় সে সময়ে সদর থানায় রাত্রিযাপন করতেন। শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হলো না। আমার বাবার খুনীদের গ্রেফতার শাস্তি চাই।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর আগরদাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি জানান, শহরের কদমতলা থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ছোট জামতলা এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে এসে পেছন থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। একটি গুলি মাথায় আরেকটি গুলি বুকে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আওয়ামী লীগ নেতা।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নজরুল ইসলাম আগরদাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও শনাক্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। কি কারণে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে এখনো কিছু নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে পুলিশের টিম মাঠে রয়েছে।