ভারতে মহিষ নেওয়ার সময় ৩ জনকে পিটিয়ে মারল গো-রক্ষকরা

  • আপডেট: ০৫:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯
  • ৫৯

অনলাইন ডেস্ক:

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে গরু চোর সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে গো-রক্ষকরা। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বিহারের সারান জেলার পিথৌরী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

বিবিসি বাংলা জানায়, ওই তিনজন যখন লরিতে একটি মহিষ আর একটি বাছুর তোলার চেষ্টা করছিল, তখন গ্রামবাসী তাদের আটক করে। আলজাজিরা জানায়, নিহতদের কমপক্ষে একজন মুসলিম বলে জানা গেছে। হামলায় আহত আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ভারতে এর আগেও ‘গো-রক্ষকদের’ হামলায় সংখ্যালঘু মুসলিম এবং সামাজিকভাবে নিম্নবর্ণের হিসেবে বিবেচিত ‘দলিত’ গোষ্ঠীর সদস্যদের নিহতের ঘটনা ঘটেছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গরুকে পবিত্র প্রাণী হিসেবে মনে করে এবং গো-হত্যা সেখানে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর উগ্রপন্থী গো-রক্ষকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে সমালোচকদের।

আনন্দবাজার জানায়, চলতি মাসের ২ তারিখ ত্রিপুরার ঢালাই জেলার রাইশ্যাবাড়ি গ্রামে গরুচোর সন্দেহে বুধি কুমার নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে গো-রক্ষকরা।

গত ১৮ জুন ঝাড়খণ্ডের খারসওয়া গ্রামে চোর সন্দেহে তাবরেজ আনসারি (২৪) নামে এক মুসলিমকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারধর করে হিন্দুত্ববাদীরা। তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘জয় হনুমান’ স্লোগান দিতে বাধ্য করেছিল হামলাকারীরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকে গরুর মাংস বিক্রি বা গরু পাচারের অভিযোগে বিভিন্ন ধরনের হামলায় এবং গণপিটুনিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস’সহ ২০৬ জনকে আসামী করে মামলা

ভারতে মহিষ নেওয়ার সময় ৩ জনকে পিটিয়ে মারল গো-রক্ষকরা

আপডেট: ০৫:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে গরু চোর সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে গো-রক্ষকরা। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বিহারের সারান জেলার পিথৌরী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

বিবিসি বাংলা জানায়, ওই তিনজন যখন লরিতে একটি মহিষ আর একটি বাছুর তোলার চেষ্টা করছিল, তখন গ্রামবাসী তাদের আটক করে। আলজাজিরা জানায়, নিহতদের কমপক্ষে একজন মুসলিম বলে জানা গেছে। হামলায় আহত আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ভারতে এর আগেও ‘গো-রক্ষকদের’ হামলায় সংখ্যালঘু মুসলিম এবং সামাজিকভাবে নিম্নবর্ণের হিসেবে বিবেচিত ‘দলিত’ গোষ্ঠীর সদস্যদের নিহতের ঘটনা ঘটেছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গরুকে পবিত্র প্রাণী হিসেবে মনে করে এবং গো-হত্যা সেখানে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর উগ্রপন্থী গো-রক্ষকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে সমালোচকদের।

আনন্দবাজার জানায়, চলতি মাসের ২ তারিখ ত্রিপুরার ঢালাই জেলার রাইশ্যাবাড়ি গ্রামে গরুচোর সন্দেহে বুধি কুমার নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে গো-রক্ষকরা।

গত ১৮ জুন ঝাড়খণ্ডের খারসওয়া গ্রামে চোর সন্দেহে তাবরেজ আনসারি (২৪) নামে এক মুসলিমকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারধর করে হিন্দুত্ববাদীরা। তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘জয় হনুমান’ স্লোগান দিতে বাধ্য করেছিল হামলাকারীরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকে গরুর মাংস বিক্রি বা গরু পাচারের অভিযোগে বিভিন্ন ধরনের হামলায় এবং গণপিটুনিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।