ফরিদগঞ্জে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী

  • আপডেট: ১২:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯
  • ৫৫

মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ॥
সামাজিক সমস্যা প্রতিকারে ৩৩৩ নাম্বারে ফোন করার পর চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আবারো উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে আসমা আক্তার নামে(১৬) নামে দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের সৈয়দনগরে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সৈয়দনগর গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ের বালিথুবা দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী আসমা আক্তারের বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার। শুক্রবার ছিল বিয়ের দিন। বাল্য বিবাহ সংক্রান্ত এই ঘটনাটি সামাজিক সমস্যা প্রতিকারের নাম্বার ৩৩৩ ফোন কল আসে। পরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মমতা আফরিন বিষয়টি জানতে পেরে নিজে শুক্রবার দুুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। এসময় আসমার পিতা বাল্য বিবাহ দেয়ার কথা স্বীকার করায় তাকে ভ্রাম্যমান আদালত তাৎক্ষনিক ৩০ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করে। একই সাথে আইন অনুযায়ীপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পূর্বে বিয়ে দিবে না বলে অঙ্গীকার নামা প্রদান করেন। এসময় থানা পুলিশের ফোর্স ও স্থানীয় ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন জানান, বাল্য বিবাহকে রোধ করতে প্রশাসন সর্বদা তৎপর । তবে এর সাথে সাথে সামাজিক সচেতনা আরো বৃদ্ধি করতে হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যে কারণে পুরুষে ৪টি বিয়ের পক্ষে হীরা সুমরো

ফরিদগঞ্জে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী

আপডেট: ১২:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯

মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ॥
সামাজিক সমস্যা প্রতিকারে ৩৩৩ নাম্বারে ফোন করার পর চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আবারো উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে আসমা আক্তার নামে(১৬) নামে দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের সৈয়দনগরে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সৈয়দনগর গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ের বালিথুবা দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী আসমা আক্তারের বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার। শুক্রবার ছিল বিয়ের দিন। বাল্য বিবাহ সংক্রান্ত এই ঘটনাটি সামাজিক সমস্যা প্রতিকারের নাম্বার ৩৩৩ ফোন কল আসে। পরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মমতা আফরিন বিষয়টি জানতে পেরে নিজে শুক্রবার দুুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। এসময় আসমার পিতা বাল্য বিবাহ দেয়ার কথা স্বীকার করায় তাকে ভ্রাম্যমান আদালত তাৎক্ষনিক ৩০ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করে। একই সাথে আইন অনুযায়ীপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পূর্বে বিয়ে দিবে না বলে অঙ্গীকার নামা প্রদান করেন। এসময় থানা পুলিশের ফোর্স ও স্থানীয় ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন জানান, বাল্য বিবাহকে রোধ করতে প্রশাসন সর্বদা তৎপর । তবে এর সাথে সাথে সামাজিক সচেতনা আরো বৃদ্ধি করতে হবে।