ফরিদগঞ্জের দিগধাইর গ্রামের রাস্তায় কাদায় একাকার

  • আপডেট: ০১:২৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯
  • ৭০

নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর পূর্ব অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র পুরানো রাস্তা হিসাবে পরিচিত মনতলা-দিগধাইর হয়ে লক্ষীপুর সড়ক। উপজেলার ৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের দুই পাশে হচ্ছে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ ও রামগঞ্জ- চাঁদপুর ওয়াবদা সড়ক। এ দুই সড়কের মধ্যবর্তী গল্লাক, লক্ষীপুর, দিগধাইর ও মনতলা এ চার গ্রামের একমাত্র রাস্তা। যেখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ পাকা সড়কে উঠার জন্য কাচা-কাদা খানা খন্দে ভরা রাস্তাটির উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে। উপজেলার সর্বশেষ ইউনিয়নের এক মাত্র রাস্তাটি আজও চোঁখে পড়েনি কোন জনপ্রতিনিধির।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে লক্ষীপুর- দিগধাইর গ্রামের মানুষ নিত্যান্ত প্রয়োজনে বের হতে গিয়ে কাচা কাদা মাটিতে চরম দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে এসব গ্রামের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ও চাকুরিজীবিরা সবচেয়ে বেশী কষ্টে প্রতিনিয়ত কাদা-মাটিতে চলাচল করতে হচ্ছে। হাটতে গিয়েও পায়ের জুতা হাতে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। এ পথ দিয়ে হাটার সময় প্রায়ই ঘটে দূর্ঘটনার কবলে।

এ পথ দিয়ে চলাচলরত যাত্রী খোরশেদ আলম, শামীম মজুমদার, আ. ছাত্তার, ইলিয়াছ, সালমা বেগমের সাথে কথা হলে বলেন, উপজেলার মধ্যে যে একটি কাচা রাস্তা আছে তা মনে হয় জানে না কেউ। স্বাধীনতার পর দেশে এতে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে অথচ এ রাস্তাটির বিষয়ে যেন কারও কোন নজর নেই। এ পথ দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করছে। আমরা বর্তমান সাংসদ সাংবাদিক শফিকুর রহমানের দৃষ্টি কামনা করছি যেন তিনি চলতি বছরের মধ্যে এ রাস্তাটি পাকা করে এ অঞ্চলের মানুষের দূর্ভোগ কমাতে সহায়ক হবে।

এ রাস্তাটির বিষয়ে ৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাও. শারাফত উল্ল্যা’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার জানামতে এ রাস্তাটির টেন্ডার হয়েছে তবে বাজেটের দোহাই দিয়ে ঠিকাদার কাজ ধরেনি। নতুন সাংসদ রাস্তাটির গুরুত্ব দিয়েছে আগামি বছরে বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যে কারণে পুরুষে ৪টি বিয়ের পক্ষে হীরা সুমরো

ফরিদগঞ্জের দিগধাইর গ্রামের রাস্তায় কাদায় একাকার

আপডেট: ০১:২৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর পূর্ব অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র পুরানো রাস্তা হিসাবে পরিচিত মনতলা-দিগধাইর হয়ে লক্ষীপুর সড়ক। উপজেলার ৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের দুই পাশে হচ্ছে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ ও রামগঞ্জ- চাঁদপুর ওয়াবদা সড়ক। এ দুই সড়কের মধ্যবর্তী গল্লাক, লক্ষীপুর, দিগধাইর ও মনতলা এ চার গ্রামের একমাত্র রাস্তা। যেখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ পাকা সড়কে উঠার জন্য কাচা-কাদা খানা খন্দে ভরা রাস্তাটির উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে। উপজেলার সর্বশেষ ইউনিয়নের এক মাত্র রাস্তাটি আজও চোঁখে পড়েনি কোন জনপ্রতিনিধির।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে লক্ষীপুর- দিগধাইর গ্রামের মানুষ নিত্যান্ত প্রয়োজনে বের হতে গিয়ে কাচা কাদা মাটিতে চরম দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে এসব গ্রামের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ও চাকুরিজীবিরা সবচেয়ে বেশী কষ্টে প্রতিনিয়ত কাদা-মাটিতে চলাচল করতে হচ্ছে। হাটতে গিয়েও পায়ের জুতা হাতে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। এ পথ দিয়ে হাটার সময় প্রায়ই ঘটে দূর্ঘটনার কবলে।

এ পথ দিয়ে চলাচলরত যাত্রী খোরশেদ আলম, শামীম মজুমদার, আ. ছাত্তার, ইলিয়াছ, সালমা বেগমের সাথে কথা হলে বলেন, উপজেলার মধ্যে যে একটি কাচা রাস্তা আছে তা মনে হয় জানে না কেউ। স্বাধীনতার পর দেশে এতে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে অথচ এ রাস্তাটির বিষয়ে যেন কারও কোন নজর নেই। এ পথ দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করছে। আমরা বর্তমান সাংসদ সাংবাদিক শফিকুর রহমানের দৃষ্টি কামনা করছি যেন তিনি চলতি বছরের মধ্যে এ রাস্তাটি পাকা করে এ অঞ্চলের মানুষের দূর্ভোগ কমাতে সহায়ক হবে।

এ রাস্তাটির বিষয়ে ৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাও. শারাফত উল্ল্যা’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার জানামতে এ রাস্তাটির টেন্ডার হয়েছে তবে বাজেটের দোহাই দিয়ে ঠিকাদার কাজ ধরেনি। নতুন সাংসদ রাস্তাটির গুরুত্ব দিয়েছে আগামি বছরে বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।