আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে চীন। চলতি বছরের জুলাই মাসে চীন এই পরীক্ষা চালায় বলে গত মাসে ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছিল চীনের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রকে একদম তাজ্জব করে দিয়েছে।
কারণ কোনো দেশই চীনের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু জানত না। তবে চীনের এই নতুন অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে সোমবার একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্টে বেইজিং পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ওই ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর আগে পৃথিবীর কক্ষপথের কিছুটা নিচে প্রদক্ষিণ করে।
তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ৩২ কিলোমিটার দূরে অবতরণ করে বলে অন্তত তিনটি সূত্র জানিয়েছে।
ফিনান্সিয়াল টাইমস সূত্রে জানা গেছে, হাইপারসনিক উচ্চ গতির ওই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা দুই দফায় করা হয়। প্রথমে ২৭ জুলাই ও পরে ১৩ আগস্ট ওই পরীক্ষা চালায় চীন।
যদিও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছিল তারা কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য কি না জানার জন্য নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে মহাকাশযান উৎক্ষেপন করেছিলেন তারা।
এদিকে বেইজিংয়ে এই অগ্রসরমান সামরিক সক্ষমতা ওয়াশিংটনে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চীন যদি সত্যিই হাইপারসিনক অস্ত্র পরীক্ষা করে থাকে, তাহলে শি জিনপিং মার্কিন হামলা প্রতিহত করার উপায় হিসেবে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে হামলা চালানোর ছক কষছেন সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য ইতোমধ্যে তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা বাড়িয়েছে।
চীন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ কমপক্ষে পাঁচটি দেশ হাইপারসনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। তবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের গতির চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আকাশসীমার উঁচু দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
অন্যদিকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিচু দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এছাড়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র খুব দ্রুত লক্ষ্যবস্তুর কাছে পৌঁছাতে পারে।