বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন একাত্তরের পরাজিত শক্তির স্পাই। একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এই হত্যাকাণ্ডের দায়ে বাংলাদেশেই জিয়ার মরণোত্তর বিচার করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ডা. মুরাদ বলেন, জিয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এদেশে বিচারহীনতার সূচনা করেন। এদেশের ইতিহাসে সবচাইতে বড় খুনি জিয়াউর রহমান। জিয়ার মরণোত্তর বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে তার মাজারও সরিয়ে নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ বাংলার রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র থাকতেন। খুনিরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চায়নি, বরং তার দর্শন ও আদর্শকেও হত্যা করতে চেয়েছে। এ কারণেই তারা শিশু রাসেলকেও হত্যা করেছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান (এমপি)। এছাড়াও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।