মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ:
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চাঁদপুর জেলায় গত ৯ এপ্রিল থেকে লকডাউন চলছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ কর্মহীন মানুষের খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগনের সার্বক্ষনিক পাশে রয়েছেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি) আসনের সাংসদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি।
করোনা ভাইরাসের এই দূর্যোগকালীন সময়ে নিজ নির্বাচনী এলাকার প্রায় ৭০ হাজার কর্মহীন পরিবারের ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন প্রশাসনসহ তার দলের নেতা কর্মী এবং সকল জনপ্রতিনিধিরা। মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ১০ হাজার কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন।
এই জননন্দিত জননেতার কটাই বার্তা আপনারা শুধু ঘরে থাকুন। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করাই এখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রধান লক্ষ।
সংশ্লিষ্ট তথ্য মতে, চাঁদপুর-৫ সংসদীয় আসনে ৬০ হাজার পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির পক্ষে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ. স. ম মাহবুব উল আলম লিপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া, সহকারি কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা, শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আকতার, শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আবদুল লতিফ, দু উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।। খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন কর্মহীন, অসহায় ও মধ্যবৃত্ত পরিবার, নরসুন্দর (সেলুন কর্মচারী), অনিয়মিত বিদ্যুৎ শ্রমিক, ডেকোরেটর কর্মচারীরা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ অনেকে।
আরো পড়ুন: হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি উপজেলার ৯ হাজার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দিলেন সাংসদ রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম
এছাড়াও তিনি হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও নার্সদের জন্য পিপিইসহ সুরক্ষা পোশাকও প্রদান করেছেন।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার উপজেলার ২২ ইউনিয়ন ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি পৌরসভায় খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
আরো পড়ুন ; প্রবাসির ফোন পেয়ে শিশুর জন্য দুধ কিনতে টাকা ও খাদ্য সহায়তা পাঠালেন সাংসদ
খাদ্যসহায়তার মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণ, চিনি, চিড়া, ছোলা, সেমাই, বেসন, মুড়ি, খেজুর ও শিশুখাদ্য।
এ ছাড়াও হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলায় মাবিক সহায়তা হিসেবে আরো ১৬ হাজার ১’শ লোককে ত্রাণ প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সহায়তা করা হবে। শিঘ্রই এ সহায়তা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে।
মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির পক্ষে প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে স্থানীয় প্রশাসন, দলীয় নেতা কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পৌরসভা এবং ইউনিয়নের ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকানুযায়ি হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভায় ৩০ হাজার পরিবার এবং শাহরাস্তি উপজেলা ও পৌরসভায় ২৭ হাজার পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০% লোক ইতিমধ্যে ত্রাণ ও নগদ টাকা পেয়েছে।
আরো পড়ুন: হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেজর রফিকের চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান
নগদ টাকার মধ্যে রয়েছে ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উপহারের টাকা।
এ ছাড়াও মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি ব্যক্তি উদ্যোগে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলা এবং পৌরসভায় প্রায় ১০ হাজার খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে বিতরণ করেন।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির খাদ্য সহায়তা এখনো অব্যাহত আছে।
আরো পড়ুন: কালচোঁ দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির খাদ্য সহায়তা প্রদান
মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির নির্দেশে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুব লীগ কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যা চলমান রয়েছে। মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি প্রতিদিিই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সাথে ত্রাণের সমন্বয় বিষয়ক নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন।
তা ছাড়াও মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির কাছে মফস্বল থেকে অনেকে ফোন করে ত্রাণ সহায়তার আহবান জানালে তিনি তার প্রতিনিধির মাধ্যমে ওইসব মধ্যবিত্ত পরবারদের জন্য নগদ টাকা ও খাদ্য সামগ্রী গোপনে প্রেরণ করছেন।
আরো পড়ুন: ৬ শতাধিক পরিবারে মেজর অব. রফিকুল ইসলামের খাদ্যদ্রব্য সহায়তা প্রদান
সহায়তাপ্রত্যাশী শতাধিক শিক্ষার্থীকে বিকাশের মাধ্যমে অর্থসহায়তা পাঠিয়েছেন তিনি। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই অত্যন্ত সতকর্তার সাথে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন চাঁদপুর-৫ আসনের সাংসদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি।
স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ. স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ নিজ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে সর্বস্তরের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সর্বোপরি একজন সফল অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।