ফরিদগঞ্জ মেয়রের অনিয়মের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট: ০৫:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ এপ্রিল ২০২০
  • ২১

ফরিদগঞ্জে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্যানেল মেয়র।

ফরিদগঞ্জ, ২৭ এপ্রিল, সোমবার:

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহফজুল হক এর অনিয়ম, দূর্নীতি আর অবিচারের বিরুদ্ধে পৌরসভার ৯জন কাউন্সিলর ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল অনাস্থা দেন। সেই অনাস্থা চাঁদপুর জেলা প্রশাসন এর গঠিত তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনের কপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত হয়। তাছাড়াও তার দূর্নীতির বিষয়ে একুশের চোখ অনুষ্ঠান সম্প্রচার হয়।

এসবের পরেও মেয়র মাহফজুল হক কাউন্সিলরদের প্রতি অবিচার করায় আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) উল্লেখিত অভিযোগসহ নতুন করে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ৬জন কাউন্সিলর।

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. খলিলুর রহমানের ব্যাক্তিগত অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসমাইল হোসেন (সোহেল), ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হারুনুর রশিদ, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল উদ্দিন, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মজিবুর রহমান এবং ৭, ৮, ও ৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোসাম্মৎ ফাতেমা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউন অবস্থায় বহু লোক কর্মহীন হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় কর্মহীন ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য সরকার প্রদত্ত ফরিদগঞ্জ পৌরসভার জন্য ১২০০টি ওএমএস কার্ড (যার বিপরীতে কার্ড প্রতি মাসে একজন ২০ (বিশ) কেজি করে চাল পাবেন) ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) মে. টন রিলিফের চাল ও নগদ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেনীর নামের তালিকা এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের নামের তালিকার বরাদ্দ আসে। এই বরাদ্দটিও মেয়র পূর্বের ন্যয় বেশীরভাগ কাউন্সিলরদের বাদ দিয়ে তার নিজের পছন্দের লোক ও আত্মীয়দের মধ্যে নিজের ইচ্ছেমত বিতরণ করেন। যার ফলে ১৬ এপ্রিল এই ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগের আলোকে গত ২৪ এপ্রিল পৌরসভা কার্যালয় থেকে কাউন্সিলর বরাবর চিঠি ইস্যু হয়, যার আলোকে ওএমএস কার্ডধারী, নগদ টাকা, মধ্যবিত্ত এবং ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা চাওয়া হয়। ১ হাজার ২শ’ ওএমএস কার্ডের বিপরীতে ওয়ার্ড প্রতি একজন কাউন্সিলর নিয়ম অনুযায়ী ১৩৩টি কার্য পাওয়ার কথা থাকলেও মেয়র তার স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে তালিকা না নিয়ে উল্টো হুমকি ধমকি দেয়।

অভিযোগকারী কাউন্সিলরদের পক্ষে প্যানেল মেয়র মো. খলিলুর রহমান বলেন, পৌরসভার প্রকৃত হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ সরকারি বরাদ্দের চাল না পাওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গনমাধ্যমের সহযোগিতায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

এই বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহফুজুল হক এর ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর ০১৭৩—০৫৭ বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হয়। তার নম্বরটি ব্যস্ত দেখায়। পরবর্তীতে তিনি ফোনটি বেকও করেননি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

শিশুর মধ্যে কোরআনি শিক্ষা থাকলে ভবিষ্যতে কল্যাণময় সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সে ভূমিকা রাখবে-মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী

ফরিদগঞ্জ মেয়রের অনিয়মের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট: ০৫:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ এপ্রিল ২০২০

ফরিদগঞ্জ, ২৭ এপ্রিল, সোমবার:

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহফজুল হক এর অনিয়ম, দূর্নীতি আর অবিচারের বিরুদ্ধে পৌরসভার ৯জন কাউন্সিলর ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল অনাস্থা দেন। সেই অনাস্থা চাঁদপুর জেলা প্রশাসন এর গঠিত তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনের কপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত হয়। তাছাড়াও তার দূর্নীতির বিষয়ে একুশের চোখ অনুষ্ঠান সম্প্রচার হয়।

এসবের পরেও মেয়র মাহফজুল হক কাউন্সিলরদের প্রতি অবিচার করায় আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) উল্লেখিত অভিযোগসহ নতুন করে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ৬জন কাউন্সিলর।

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. খলিলুর রহমানের ব্যাক্তিগত অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসমাইল হোসেন (সোহেল), ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হারুনুর রশিদ, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল উদ্দিন, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মজিবুর রহমান এবং ৭, ৮, ও ৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোসাম্মৎ ফাতেমা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউন অবস্থায় বহু লোক কর্মহীন হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় কর্মহীন ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য সরকার প্রদত্ত ফরিদগঞ্জ পৌরসভার জন্য ১২০০টি ওএমএস কার্ড (যার বিপরীতে কার্ড প্রতি মাসে একজন ২০ (বিশ) কেজি করে চাল পাবেন) ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) মে. টন রিলিফের চাল ও নগদ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেনীর নামের তালিকা এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের নামের তালিকার বরাদ্দ আসে। এই বরাদ্দটিও মেয়র পূর্বের ন্যয় বেশীরভাগ কাউন্সিলরদের বাদ দিয়ে তার নিজের পছন্দের লোক ও আত্মীয়দের মধ্যে নিজের ইচ্ছেমত বিতরণ করেন। যার ফলে ১৬ এপ্রিল এই ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগের আলোকে গত ২৪ এপ্রিল পৌরসভা কার্যালয় থেকে কাউন্সিলর বরাবর চিঠি ইস্যু হয়, যার আলোকে ওএমএস কার্ডধারী, নগদ টাকা, মধ্যবিত্ত এবং ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা চাওয়া হয়। ১ হাজার ২শ’ ওএমএস কার্ডের বিপরীতে ওয়ার্ড প্রতি একজন কাউন্সিলর নিয়ম অনুযায়ী ১৩৩টি কার্য পাওয়ার কথা থাকলেও মেয়র তার স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে তালিকা না নিয়ে উল্টো হুমকি ধমকি দেয়।

অভিযোগকারী কাউন্সিলরদের পক্ষে প্যানেল মেয়র মো. খলিলুর রহমান বলেন, পৌরসভার প্রকৃত হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ সরকারি বরাদ্দের চাল না পাওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গনমাধ্যমের সহযোগিতায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

এই বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহফুজুল হক এর ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর ০১৭৩—০৫৭ বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হয়। তার নম্বরটি ব্যস্ত দেখায়। পরবর্তীতে তিনি ফোনটি বেকও করেননি।