প্রবীর চক্রবর্তী :
জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর চাঁদপুর রোববার ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরসহ কয়েকটি বাজারে আদার দাম নিরুপনে অভিয়ান পরিচালণা করেছে। অভিযানের পর আদার দাম ৩শত টাকা থেকে কমে পাইকারি ২শত ৬০ ও খুচরা ২শত ৭০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, আমদানীকৃত আদার এলসি মূল্য কেজি প্রতি ৯৭ টাকা হলেও আমদানীকারকরা নিজেদের ইচ্ছেমত দাম ধরে তা বাজারজাত করে। সম্প্রতি জাতীয় ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ এই জালিয়াতির উদঘাটনে সফল হয়। তারা আমদানীকারকদের কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ১২০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। এরই ফল স্বরূপ চাঁদপুরের ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ আদার দান যাচাইয়ে নামে।
তারা রোবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তারার দেখতে পান প্রতিকেজি আদা দাম না কমিয়ে খুচরা মূল্য ৩০০ টাকা এবং পাইকারী মুল্য ২৭০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে। এর কারণে তারা ৪টি প্রতিষ্ঠানের ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সাথে আদার মূল্য পাইকারী ২৬০ টাকা ও খুচরা ২৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। এছাড়া তারা এছাড়া মাস্ক, হ্যান্ডহ স্যানিটাইজার, গ্লাভস ইত্যাদির মূল্যও যাচাই করেন।
এব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন রুবেল সাংবাদিকদের জানান, বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ বাজার অভিযান পরিচালনা করেছি। দাম বেশি রাখায় এবং মূল্য তালিকা না রাখায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মূল্য তালিকা প্রদর্শন, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ এবং নায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় করতে সব ব্যাবসায়ীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।