স্টাফ রির্পোটার :
মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনের সুযোগের সদ্বব্যবহার করে আদালতের জারি করা ১৪৫ ধারা অমান্য করে রাতের আঁধারে মারধর করে জোর পুর্বক ঘরে ঢুকে ঘরের ভিতরে নতুন করে বেড়া দেয়ার সাথে সাথে দিনের বেলা প্রকাশ্যে তালাবদ্ধ দোকান ঘরে কাঠের রেকসহ মালামাল ঢুকিয়ে দোকান চালুর করার ঘটনা ঘটেছে এমনটাই জানিয়েছেন মরিয়ম বেগম নামে এক গৃহবধু। এই ঘটনায় পুলিশের অস্পষ্ট ভুমিকার কারণে প্রতিপক্ষ এই ঘটনা ঘটাতে দু:সাহস দেখিয়েছে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের কাছিয়াড়া গ্রামের কালিরবাজার চৌরাস্তার অদুরে ঘটে।
আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগে প্রকাশ , কাতার প্রবাসী আ: রাজ্জাক মিয়ার সাথে তার ভাই লুৎফুর রহমান সুমনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। আ: রাজ্জাক পিতা হেদায়েত উল্যার ভাগবাটোয়ারা এবং তার দুই বোনের কাছে থেকে হেবানামা দলিল মুলেসহ মোট ৪ শতক জমির মাটি ভরাট করে সামনে দোকানঘর ও পিছনে বসত ঘর নির্মাণ করে।
আরো পড়ুন: চাঁদপুরে আরো ২ করোনাে রোগী সনাক্ত, রিপোর্ট অপেক্ষামান ২৫ জনের
মরিয়ম বেগম জানান, তার স্বামী সন্তানসহ দীর্ঘদিন এই খানে বসবাস করছেন। গত দুই বছর পুর্বে কাতার চলে যায়। সেই থেকে তিনি ওই স্থানেই বসবাস ও দোকান ভাড়া দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। তার দেবর লুৎফুর রহমান দোকান ঘরের একটিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিল । কিন্তু গত ১৪ মার্চ শনিবার হঠাৎ করেই তার দেবর লুৎফুর রহমান দোকান ঘর নিজের বলে দাবী করে । ওই সময়ে থানা পুলিশের শরনাপন্ন হলেও কোন সুরাহা না হওয়ায় গত ১৯ মার্চ বৃহষ্পতিবার চাঁদপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি বাদী হয়ে ১৪৫ ধারা জারির জন্য আবেদন করলে আদালত ওই ভ‚মিতে ১৪৫ ধারা জারি করে। পরে থানা পুলিশ নোটিশ করে দোকানঘরটি তালাবদ্ধ থাকা অবস্থায় ১৪৫ ধারার নোটিশ জারি করে।
মরিয়ম বেগম জানান, পরবর্তীতে করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে লকডাউনের পরিস্থিতি হওয়ার সুযোগে গত ১৮ এপ্রিল রাতে তার দেবর লুৎফুর রহমানসহ একদল লোকজন তার বসত ঘরে প্রবেশ করে তাকে মারধর ও আটকে রেখে দোকান ঘরের পিছনের অংশে নুতন করে বেড়া নির্মাণ করে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক থানা পুলিশকে অবহিত করলেও তারা সময়ক্ষেপন করে যাওয়ার সুযোগে তাদের কাজ সমাপ্ত করে চলে যায়। পরদিন রোববার সকালে তার দেবর পুনরায় আদালতের নিদের্শ অমান্য করে তালাবদ্ধ দোকানঘর খুলে কাঠের রেকসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভিতরে নিয়ে দোকান চালু করে। এসময় বারংবার পুলিশকে জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় নি।