স্টাফ রির্পোটার :
যৌতুকের দাবী মেটাতে না পেরে স্বামীর নির্মম নির্যাতন শিকার হয়ে প্রাণ গেল গৃহবধু হাজেরা বেগমের (২০)। ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মৃত্যু বরণ করেছে। এব্যাপারে নিহত হাজেরা বেগমের পিতা মো: আছলাম ছৈয়াল চাঁদপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের বালিথুবা গ্রামের আছলাম ছৈয়ালের মেয়ে হাজেরা বেগমের সাড়ে চার বছর পুর্বে পাশ্ববর্তী চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামের শাহজাহান পাটওয়ারীর ছেলে আ: সাত্তার পাটওয়ারী সাথে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
হাজেরার পিতা আছলাম ছৈয়াল জানায়, ‘বিয়ের পর বেশকিছুদিন আমার মেয়ের সংসার ভালভাবে চললেও , হঠাৎ করেই ২ বছর ধরে টাকার জন্য জামাতা আ: সাত্তারও তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। ওই সময়ে আমি দেড় লক্ষ টাকা দেই। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই তারা আবারো টাকার জন্য আমার মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে। সর্বশেষ কয়েকদিন পুর্বে তারা আমার মেয়েকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে, সে তা দিকে অস্বীকার করলে মারধর করে। বিষয়টি জেনে আমি নিজে মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে চলে আসি।
গত ১১ এপ্রিল সোমবার বিকালে আমার জামাতা আমার স্ত্রীর কাছে ফোন করে জানায়, হাজেরা স্ট্রোক করেছে। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমরা দ্রুত হাসপাতালে গেলে তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্নসহ গুরুতর অবস্থায় দেখতে পাই। এসময় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার অবস্থার অবনিত হলে তাকে ঢাকা রেফার করার সময়ে আমার জামাতাসহ অন্যরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ এপ্রিল সোমবার তার মৃত্যু হয়। পরে ঢাকার শাহবাগ থানাপুলিশ লাশের সুরতহাল রির্পোট করে’।
এব্যাপারে মঙ্গলবার আছলাম ছৈয়াল বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।