ফরিদগঞ্জে শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার, থানায় মামলা

  • আপডেট: ০১:০৬:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯
  • ৬৯

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাটি গত ১৬ জুন রাতে উপজেলার রঘুনাথপুর বেপারি বাড়িতে ঘটলেও দীর্ঘ সময় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির প্রাণ নাশের ভয়ে বিষয়টি নিরব ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে ছাত্রীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসলে বিষয়টি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে তার মাকে জানায়।

ধর্ষনের শিকার শিক্ষার্থীটি মা জানান, গত ১৬ জুন রোববার রাতে একই বাড়ির নুর মোহাম্মদের লম্পট ছেলে সালামত উল্লা কৌশলে তার মেয়েকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। কিন্তু ধর্ষক সালামত আমার মেয়েকে ধর্ষণ করার পর মেরে ফেলার হুমকি দেয়ায় সে বিষয়টি আমাকে জানায়নি। ঘটনার পর মেয়েটির রক্ত ক্ষরণ শুরু হলে প্রথমত ভেবেছি হয়তো প্রকৃতির নিয়মে মেয়েটির তা হচ্ছে। কিন্তু অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ শুরু হওয়ায় তাকে একজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। তখন বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর মেয়েটি প্রকৃত ঘটনাটি আমার কাছে খুলে বলে। এখন মামলা দায়েরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুর রকিব জানান, ধর্ষনের শিকার শিক্ষার্থীটি বাব-মা’সহ থানায় হাজির হয়ে বিষয়টি অবগত করেছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ধর্ষককে আটকসহ আইনানুগ সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

ফরিদগঞ্জে শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার, থানায় মামলা

আপডেট: ০১:০৬:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি॥
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাটি গত ১৬ জুন রাতে উপজেলার রঘুনাথপুর বেপারি বাড়িতে ঘটলেও দীর্ঘ সময় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির প্রাণ নাশের ভয়ে বিষয়টি নিরব ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে ছাত্রীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসলে বিষয়টি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে তার মাকে জানায়।

ধর্ষনের শিকার শিক্ষার্থীটি মা জানান, গত ১৬ জুন রোববার রাতে একই বাড়ির নুর মোহাম্মদের লম্পট ছেলে সালামত উল্লা কৌশলে তার মেয়েকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। কিন্তু ধর্ষক সালামত আমার মেয়েকে ধর্ষণ করার পর মেরে ফেলার হুমকি দেয়ায় সে বিষয়টি আমাকে জানায়নি। ঘটনার পর মেয়েটির রক্ত ক্ষরণ শুরু হলে প্রথমত ভেবেছি হয়তো প্রকৃতির নিয়মে মেয়েটির তা হচ্ছে। কিন্তু অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ শুরু হওয়ায় তাকে একজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। তখন বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর মেয়েটি প্রকৃত ঘটনাটি আমার কাছে খুলে বলে। এখন মামলা দায়েরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুর রকিব জানান, ধর্ষনের শিকার শিক্ষার্থীটি বাব-মা’সহ থানায় হাজির হয়ে বিষয়টি অবগত করেছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ধর্ষককে আটকসহ আইনানুগ সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।