করোনায় বাতিল করা হবে না হজ

  • আপডেট: ০১:৩৪:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০
  • ২৫
অনলাইন ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি সরকার এ বছরের হজ বাতিল ঘোষণা করেছে বলে যে গুজব ছড়িয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত নওয়াফ বিন সাআদ আল-মালিকি।

উর্দু নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হজ বাতিল করার সিদ্ধান্ত যদি নেয়া হয়, তাহলে সময় মতো হজযাত্রীদের করণীয় কী হবে, সে সম্পর্কেও আগাম জানিয়ে দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেকার পাকিস্তানিদের কথা উল্লেখ করে নওয়াফ বিন সাআদ বলেন, যাদের ইকামা বাতিল করা হয়নি এবং যাদের আইনিভাবে বহির্গমনের কাগজপত্র রয়েছে, তাদের ফ্লাইট পুনরায় চালু করা হবে এবং তারা সৌদি আরব ফিরে যেতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, সৌদি পাসপোর্ট অধিদফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যারা ফ্লাইট স্থগিতের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময়সীমার ব্যবধানে সৌদি আরবে পৌঁছাতে পারেননি, তাদের সবাইকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের প্রস্থান এবং ফেরতের ভিসা বাড়ানো হবে।

একইভাবে, যারা ভিসা বা ওমরাহ করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন কিন্তু নিজেদের দেশে ফিরে আসতে পারেননি, তাদের কোনো ধরনের জরিমানা করা হবে না এবং ভিসা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হবে না।

নওয়াফ বিন সাআদ মালিক বলেন, সৌদি নাগরিক, বাসিন্দা ও ওমরাহ যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সৌদি আরবে যাওয়া ও আসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি সৌদি সরকার করোনাভাইরাসের কারণে ওমরাহ ও পর্যটন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল। এরপর ৪ মার্চ একই কারণে ওমরার জন্য অর্থ গ্রহণও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সৌদি গেজেট কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরব অস্থায়ীভাবে ওমরাহ পালন স্থগিত করেছে এবং সৌদি নাগরিকসহ অস্থায়ী বাসিন্দাদের মসজিদে গমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

টুইটে বলা হয়েছে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সৌদি সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, করোনাভাইরাস নিরীক্ষণের জন্য কমিটির সুপারিশ অনুসারে নাগরিক ও বাসিন্দাদের ওমরাহর অর্থ গ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবও রয়েছে। যেখানে ইতিমধ্যে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আক্রান্ত রয়েছে প্রায় ৭০০ এরও বেশি।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল আলী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি বিভাগে বিদেশি রোগীর অবস্থা দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছিল এবং সোমবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মঙ্গলবার একদিনে ২০৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬৭ জনে পৌঁছেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল তালাল আল-শালাব জানিয়েছেন, কারফিউর প্রথম দিনেই সারা দেশে তার বাস্তবায়ন চলছিল।

সৌদি বাদশাহ সালমান করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দু’দিন আগে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে ২১ দিনের জন্য কারফিউ ঘোষণা করেছেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

করোনায় বাতিল করা হবে না হজ

আপডেট: ০১:৩৪:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০
অনলাইন ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি সরকার এ বছরের হজ বাতিল ঘোষণা করেছে বলে যে গুজব ছড়িয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত নওয়াফ বিন সাআদ আল-মালিকি।

উর্দু নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হজ বাতিল করার সিদ্ধান্ত যদি নেয়া হয়, তাহলে সময় মতো হজযাত্রীদের করণীয় কী হবে, সে সম্পর্কেও আগাম জানিয়ে দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেকার পাকিস্তানিদের কথা উল্লেখ করে নওয়াফ বিন সাআদ বলেন, যাদের ইকামা বাতিল করা হয়নি এবং যাদের আইনিভাবে বহির্গমনের কাগজপত্র রয়েছে, তাদের ফ্লাইট পুনরায় চালু করা হবে এবং তারা সৌদি আরব ফিরে যেতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, সৌদি পাসপোর্ট অধিদফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যারা ফ্লাইট স্থগিতের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময়সীমার ব্যবধানে সৌদি আরবে পৌঁছাতে পারেননি, তাদের সবাইকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের প্রস্থান এবং ফেরতের ভিসা বাড়ানো হবে।

একইভাবে, যারা ভিসা বা ওমরাহ করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন কিন্তু নিজেদের দেশে ফিরে আসতে পারেননি, তাদের কোনো ধরনের জরিমানা করা হবে না এবং ভিসা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হবে না।

নওয়াফ বিন সাআদ মালিক বলেন, সৌদি নাগরিক, বাসিন্দা ও ওমরাহ যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সৌদি আরবে যাওয়া ও আসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি সৌদি সরকার করোনাভাইরাসের কারণে ওমরাহ ও পর্যটন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল। এরপর ৪ মার্চ একই কারণে ওমরার জন্য অর্থ গ্রহণও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সৌদি গেজেট কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরব অস্থায়ীভাবে ওমরাহ পালন স্থগিত করেছে এবং সৌদি নাগরিকসহ অস্থায়ী বাসিন্দাদের মসজিদে গমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

টুইটে বলা হয়েছে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সৌদি সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, করোনাভাইরাস নিরীক্ষণের জন্য কমিটির সুপারিশ অনুসারে নাগরিক ও বাসিন্দাদের ওমরাহর অর্থ গ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবও রয়েছে। যেখানে ইতিমধ্যে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আক্রান্ত রয়েছে প্রায় ৭০০ এরও বেশি।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল আলী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি বিভাগে বিদেশি রোগীর অবস্থা দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছিল এবং সোমবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মঙ্গলবার একদিনে ২০৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬৭ জনে পৌঁছেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল তালাল আল-শালাব জানিয়েছেন, কারফিউর প্রথম দিনেই সারা দেশে তার বাস্তবায়ন চলছিল।

সৌদি বাদশাহ সালমান করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দু’দিন আগে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে ২১ দিনের জন্য কারফিউ ঘোষণা করেছেন।