কলকাতায় গ্রেপ্তার ২৫৫, লক ডাউনে ফাঁকা সড়ক

  • আপডেট: ০৯:৫৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০
  • ২৬

A police officer uses a megaphone advising people to vacate the roads after the lockdown by West Bengal state government to limit the spreading of coronavirus disease (COVID-19), in Kolkata, India March 23, 2020. REUTERS/Rupak De Chowdhuri

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চীনের ‍উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে কলকাতাসহ পুরো পশ্চিমবঙ্গ। লকডাউন চলাকালীন সময়ে কলকাতা শহর প্রায় ফাঁকা রয়েছে বলছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এসময় নিময় অমান্য করায় অন্তত ২৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ।

জানা যায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সোমবার বিকাল পাঁচটা থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন চলবে গোটা রাজ্য। আর এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতার রাজপথের ছবি হার মানাবে যে কোনও ধর্মঘটকে।

গণমাধ্যমে জানা যায়, কলকাতার রাজপথে নামেনি সরকারি বা বেসরকারি কোন গণপরিবহণ। শুধু জরুরি গাড়ি এবং তাদের কর্মী ছাড়া আর কোনও যানবাহন শহরে চোখে পড়েনি। বন্ধ ছিল বেশিরভাগ বাজারও। তবে যে সব বাজার খুলেছে সেগুলোতে জনসমাগম ছিল বেশ।

লকডাউনে জনশূন্য কলকাতা, গ্রেফতার ২৫৫

এদিকে, জনশূন্য রাজপথে চলছে পুলিশের কড়া চেকিং। জরুরি সেবা কিংবা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংক্রান্ত না হলে খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রত্যেকটি গাড়ি। নিতান্ত জরুরি দরকার ছাড়া আইন ভেঙে অযথা পথে নামলেই আটক করছে পুলিশ। শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চলছে পুলিশের টহল।

কলকাতার পুলিশ সুপার অনুজ শর্মা টুইট বার্তায় জানিয়েছেন আইন ভাঙার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫৫ জনকে। তিনি করোনার এমন পরিস্থিতিতে জনগণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা, আদালত, জেল, স্বাস্থ্যসেবায় বিধিনিষেধ থাকবে না। বিদ্যুৎ, পানি, পরিচ্ছন্নতা, অগ্নিনির্বাপণ, অসামরিক প্রতিরক্ষা, টেলিকম, ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি, ডাকঘর, ব্যাংক-এটিএম, গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু থাকবে। সেই সঙ্গে মাছ মাংস, দুধ, ফলের মতো আবশ্যিক খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে।

খাদ্যদ্রব্যের অনলাইন বাজার এবং হোম-ডেলিভারিও নিষেধাজ্ঞার বাইরে। পেট্রোল পাম্প, গ্যাস, তেল, ওষুধ পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। যে দ্রব্যগুলির উৎপাদন বন্ধ করা যাবে না, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের অনুমোদন সাপেক্ষে সেই কাজ চালানো যাবে। জরুরি সেবা সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জেলাশাসক অথবা পুর কমিশনার। সংবাদমাধ্যমগুলোও লকডাউনের বাইরে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

কলকাতায় গ্রেপ্তার ২৫৫, লক ডাউনে ফাঁকা সড়ক

আপডেট: ০৯:৫৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চীনের ‍উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে কলকাতাসহ পুরো পশ্চিমবঙ্গ। লকডাউন চলাকালীন সময়ে কলকাতা শহর প্রায় ফাঁকা রয়েছে বলছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এসময় নিময় অমান্য করায় অন্তত ২৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ।

জানা যায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সোমবার বিকাল পাঁচটা থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন চলবে গোটা রাজ্য। আর এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতার রাজপথের ছবি হার মানাবে যে কোনও ধর্মঘটকে।

গণমাধ্যমে জানা যায়, কলকাতার রাজপথে নামেনি সরকারি বা বেসরকারি কোন গণপরিবহণ। শুধু জরুরি গাড়ি এবং তাদের কর্মী ছাড়া আর কোনও যানবাহন শহরে চোখে পড়েনি। বন্ধ ছিল বেশিরভাগ বাজারও। তবে যে সব বাজার খুলেছে সেগুলোতে জনসমাগম ছিল বেশ।

লকডাউনে জনশূন্য কলকাতা, গ্রেফতার ২৫৫

এদিকে, জনশূন্য রাজপথে চলছে পুলিশের কড়া চেকিং। জরুরি সেবা কিংবা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংক্রান্ত না হলে খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রত্যেকটি গাড়ি। নিতান্ত জরুরি দরকার ছাড়া আইন ভেঙে অযথা পথে নামলেই আটক করছে পুলিশ। শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চলছে পুলিশের টহল।

কলকাতার পুলিশ সুপার অনুজ শর্মা টুইট বার্তায় জানিয়েছেন আইন ভাঙার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫৫ জনকে। তিনি করোনার এমন পরিস্থিতিতে জনগণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা, আদালত, জেল, স্বাস্থ্যসেবায় বিধিনিষেধ থাকবে না। বিদ্যুৎ, পানি, পরিচ্ছন্নতা, অগ্নিনির্বাপণ, অসামরিক প্রতিরক্ষা, টেলিকম, ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি, ডাকঘর, ব্যাংক-এটিএম, গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু থাকবে। সেই সঙ্গে মাছ মাংস, দুধ, ফলের মতো আবশ্যিক খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে।

খাদ্যদ্রব্যের অনলাইন বাজার এবং হোম-ডেলিভারিও নিষেধাজ্ঞার বাইরে। পেট্রোল পাম্প, গ্যাস, তেল, ওষুধ পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। যে দ্রব্যগুলির উৎপাদন বন্ধ করা যাবে না, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের অনুমোদন সাপেক্ষে সেই কাজ চালানো যাবে। জরুরি সেবা সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জেলাশাসক অথবা পুর কমিশনার। সংবাদমাধ্যমগুলোও লকডাউনের বাইরে।