সুচির সম্মাননা কেড়ে নিল লন্ডন

  • আপডেট: ১১:২০:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০
  • ২৯

অনলাইন ডেস্ক:

মিয়ানমারের শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি’কে দেওয়া সম্মাননা কেড়ে নিল লন্ডন সিটি করপোরেশন (সিএলসি)। রাখাইনে মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনায় বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ রাজধানী শহরটির কর্তৃপক্ষ। খবর আলজাজিরার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনের ঐতিহাসিক এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পরিচালনা করা সিএলসি কর্তৃপক্ষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোটে সু চির সম্মান বাতিল করা হয়।

২০১৭ সালের মে মাসে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সু চি’কে এই সম্মানে ভূষিত করেছিল সিএলসি। এর মাধ্যমে মিয়ানমার নেত্রীর অনেক বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য অহিংস লড়াই এবং মানুষের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে তার অবিচল নিষ্ঠার প্রতি স্বীকৃতি জানানো হয়।

সে সময় ইউরোপ সফরে থাকাকালীন সু চি লন্ডনে ওই সম্মাননা প্রদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং পুরস্কার গ্রহণ করেন। যদিও রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য সেখানে তিনি বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছিলেন।

তবে ডিসেম্বরে হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানিতে সু চি’র অবস্থানের পর সম্মানটির জন্য তিনি যোগ্য নন বলে একমত হয় সিএলসি। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ অস্বীকার করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী।

সু চি’র আগে সিএলসি’র এই সম্মান লাভ করেন ব্রিটিশ উইন্সটন চার্চিল, দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

সুচির সম্মাননা কেড়ে নিল লন্ডন

আপডেট: ১১:২০:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

মিয়ানমারের শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি’কে দেওয়া সম্মাননা কেড়ে নিল লন্ডন সিটি করপোরেশন (সিএলসি)। রাখাইনে মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনায় বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ রাজধানী শহরটির কর্তৃপক্ষ। খবর আলজাজিরার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনের ঐতিহাসিক এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পরিচালনা করা সিএলসি কর্তৃপক্ষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোটে সু চির সম্মান বাতিল করা হয়।

২০১৭ সালের মে মাসে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সু চি’কে এই সম্মানে ভূষিত করেছিল সিএলসি। এর মাধ্যমে মিয়ানমার নেত্রীর অনেক বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য অহিংস লড়াই এবং মানুষের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে তার অবিচল নিষ্ঠার প্রতি স্বীকৃতি জানানো হয়।

সে সময় ইউরোপ সফরে থাকাকালীন সু চি লন্ডনে ওই সম্মাননা প্রদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং পুরস্কার গ্রহণ করেন। যদিও রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য সেখানে তিনি বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছিলেন।

তবে ডিসেম্বরে হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানিতে সু চি’র অবস্থানের পর সম্মানটির জন্য তিনি যোগ্য নন বলে একমত হয় সিএলসি। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ অস্বীকার করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী।

সু চি’র আগে সিএলসি’র এই সম্মান লাভ করেন ব্রিটিশ উইন্সটন চার্চিল, দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং।