আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের অতিসুরক্ষিত গ্রিন জোনের ভেতর তিনটি কাতিউশা রকেট গিয়ে আঘাত হেনেছে। মঙ্গলবার ভোরে মার্কিন দূতাবাসের কাছে এগুলো গিয়ে পড়লেও এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিবিসির এক প্রতিবেদক বলেন, মার্কিন দূতাবাস কমপ্লেক্সের ভেতরে সবাইকে সতর্ক হতে আহ্বান জানানো হয়েছে। ভেতরে থাকা সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
ইরাকি পুলিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, তিন কাতিউশা রকেট গ্রিন জোনের ভেতরে পড়েছে। গ্রিন জোটের ভেতরে সরকারি বাসভবন ও বিদেশি মিশনগুলো অবস্থিত।
বাগদাদের বাইরে জাফরানিয়া থেকে এসব রকেট এসেছে। রকেটের প্রভাব পড়ার পরেই তাৎক্ষণিকভাবে গ্রিনজোনে সাইরেন বেজে উঠেছে। সাম্প্রতিক এসব হামলার জন্য ইরানভিত্তিক আধাসামরিক বাহিনীগুলোকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কারও তরফ থেকে এই হামলার দায়িত্ব নেয়ার কথা শোনা যায়নি।
এদিকে বাগদাদ ও বেশ কয়েকটি শহরে সহিংসতায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয় ইরাকি নিহত হয়েছেন। সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানা গেছে। দেশটিতে কয়েক সপ্তাহের স্থবিরতার পর নতুন করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তায়ারান চত্বরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড তাজা গুলি নিক্ষেপ করলে আহত হয়ে তিন বিক্ষোভকারী নিহত হন। দুজনের শরীরে তাজা গুলি লেগেছে, আরেকজনের কাঁদানে গ্যাসের ক্যানিস্টার আঘাত লেগেছে।
আর শিয়াদের পবিত্র শহর কারবালায় পুলিশের গুলিতে আরেক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেডের জবাবে পুলিশের দিকে পেট্রল বোমা ও পাথর নিক্ষেপ করেন সরকারবিরোধীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্ষোভকারী বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর উচিত গুলি করা বন্ধ করা। আমাদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর আগে তাদের জানা উচিত, তারা কারা আর আমরা কারা?
এ ছাড়া দেশটির তেলসমৃদ্ধ নগরী বসরায় বিক্ষোভের সময় একটি বেসরকারি গাড়িচাপায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। চালক সরকারবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের স্থানটি এড়িয়ে যেতে চাইলে দুই পুলিশ গাড়ির নিচে চাপা পড়েন।