ফরিদগঞ্জে ১৮ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পরকীয়ার টানে প্রবাসির স্ত্রী উধাও

  • আপডেট: ১২:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯
  • ৫৩

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো:
ফরিদগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর ১৮ লাখ টাকাসহ গয়না নিয়ে ৪ সন্তানের জননী উধাওএক সন্তানসহ নগদ টাকা গয়না নিয়ে এক মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্ত্রী ,সন্তান ও লাখ টাকার শোকে এখন পাগলের মত জীবন যাপন করছেন প্রবাস ফেরৎ বিল্লাল হোসেন। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ভাগপুর গ্রামে
থানায় নিখোঁজ ডায়েরি ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভাগপুর গ্রামের মৃত আ. জলিলের ছেলে বিল্লাল হোসেনের সাথে চাঁদপুর সদরের বাকেরপুর গ্রামের ইসমাইল গাজীর মেয়ে মনোয়ারা বেগমের বিয়ে হয় প্রায় দেড়যুগ পূর্বে। বিয়ের পর স্বামী বিল্লাল জীবিকার টানে কুয়েতে পাড়ি জমান।
প্রবাস থেকে ৪-৫ বছর পর পর দেশে কিছু দিনের জন্য থেকে পুনরায় বিদেশ চলে যান। এরই মধ্যে তাদের সংসারে জন্ম নেয় চার সন্তান। প্রবাসে থাকাকালীন স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের নামে লাখ লাখ টাকা পাঠান স্বামী বিল্লাল। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন শেষ করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একবারে দেশে চলে আসেন।
প্রবাসী বিল্লাল দেশে এসে ব্যবসার উদ্দেশ্যে স্ত্রী’র কাছে তার পাঠানো টাকার হিসাব চাইলে দেই দিচ্ছি বলে দিনের পর দিন তালবাহানা শুরু করে। ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল ৯ বছরের ছোট ছেলে মাঈনুদ্দিনকে সাথে নিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি করেন স্বামী বিল্লাল হোসেন।
স্বামী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ স্ত্রী সন্তানের মায়ায় প্রবাস থেকে একবারে দেশে এসেছি। দেশে ব্যবসা করার লক্ষ্যে স্ত্রী’র কাছে আমার পাঠানো টাকার হিসাব চাইতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটায়। ব্যাংকে থাকা প্রায় ১৫ লাখ টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণ এবং বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ধার-দেনার নাম করে আরো ৩ লাখ টাকাসহ আমার ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে নিঁখোজ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় আমি থানায় একটি জিডি করেছি এবং স্ত্রী সন্তানকে ফিরে ফেতে আরো একটি অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদি কেউ এদের দেখা পায় তাহলে এ ০১৬৪৩-১৮৫ ৮২২ নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন স্বামী বিল্লাল হোসেন।
প্রবাসীর বড় ছেলে আরিফ হোসেন বলেন,‘ বাবা দেশে আসার পর মায়ের কাছে ধার-দেনার হিসাব চান। আমার মা বাবার টাকা-পয়সার হিসেব না দিয়ে কাউকে না বলে আমার ছোট ভাইকে নিয়ে নিঁখোজ হন। প্রশাসনের প্রতি আমাদের একটাই চাওয়া মা ও ভাইকে যেন খুঁজে পাই।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মতলব উত্তর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস’সহ ২০৬ জনকে আসামী করে মামলা

ফরিদগঞ্জে ১৮ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পরকীয়ার টানে প্রবাসির স্ত্রী উধাও

আপডেট: ১২:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো:
ফরিদগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর ১৮ লাখ টাকাসহ গয়না নিয়ে ৪ সন্তানের জননী উধাওএক সন্তানসহ নগদ টাকা গয়না নিয়ে এক মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্ত্রী ,সন্তান ও লাখ টাকার শোকে এখন পাগলের মত জীবন যাপন করছেন প্রবাস ফেরৎ বিল্লাল হোসেন। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ভাগপুর গ্রামে
থানায় নিখোঁজ ডায়েরি ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভাগপুর গ্রামের মৃত আ. জলিলের ছেলে বিল্লাল হোসেনের সাথে চাঁদপুর সদরের বাকেরপুর গ্রামের ইসমাইল গাজীর মেয়ে মনোয়ারা বেগমের বিয়ে হয় প্রায় দেড়যুগ পূর্বে। বিয়ের পর স্বামী বিল্লাল জীবিকার টানে কুয়েতে পাড়ি জমান।
প্রবাস থেকে ৪-৫ বছর পর পর দেশে কিছু দিনের জন্য থেকে পুনরায় বিদেশ চলে যান। এরই মধ্যে তাদের সংসারে জন্ম নেয় চার সন্তান। প্রবাসে থাকাকালীন স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের নামে লাখ লাখ টাকা পাঠান স্বামী বিল্লাল। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন শেষ করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একবারে দেশে চলে আসেন।
প্রবাসী বিল্লাল দেশে এসে ব্যবসার উদ্দেশ্যে স্ত্রী’র কাছে তার পাঠানো টাকার হিসাব চাইলে দেই দিচ্ছি বলে দিনের পর দিন তালবাহানা শুরু করে। ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল ৯ বছরের ছোট ছেলে মাঈনুদ্দিনকে সাথে নিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি করেন স্বামী বিল্লাল হোসেন।
স্বামী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ স্ত্রী সন্তানের মায়ায় প্রবাস থেকে একবারে দেশে এসেছি। দেশে ব্যবসা করার লক্ষ্যে স্ত্রী’র কাছে আমার পাঠানো টাকার হিসাব চাইতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটায়। ব্যাংকে থাকা প্রায় ১৫ লাখ টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণ এবং বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ধার-দেনার নাম করে আরো ৩ লাখ টাকাসহ আমার ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে নিঁখোজ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় আমি থানায় একটি জিডি করেছি এবং স্ত্রী সন্তানকে ফিরে ফেতে আরো একটি অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদি কেউ এদের দেখা পায় তাহলে এ ০১৬৪৩-১৮৫ ৮২২ নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন স্বামী বিল্লাল হোসেন।
প্রবাসীর বড় ছেলে আরিফ হোসেন বলেন,‘ বাবা দেশে আসার পর মায়ের কাছে ধার-দেনার হিসাব চান। আমার মা বাবার টাকা-পয়সার হিসেব না দিয়ে কাউকে না বলে আমার ছোট ভাইকে নিয়ে নিঁখোজ হন। প্রশাসনের প্রতি আমাদের একটাই চাওয়া মা ও ভাইকে যেন খুঁজে পাই।