বাংলাদেশের ৩ মন্ত্রীর সফর বাতিলে মুখ পুড়ল মোদির: ভারতীয় মিডিয়া

  • আপডেট: ০৫:১৩:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০
  • ২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতজুড়ে বিক্ষোভের জেরে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের তিনজন মন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করেছেন। বিষয়টিকে মোদি সরকারের ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম।

আগামী ১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য রাইসিনা সংলাপে অংশ না নেয়ার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

গত মাসে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীও নিজেদের সফর বাতিল করেন। এর এক সপ্তাহ পরেই দুই দেশের মধ্যে যৌথ নদী কমিশনের আলোচনাও বাতিল হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গটি সামনে এনে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজক পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

ভারতের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম আজকালের শিরোনামে বলা হয়, ‘ফের মুখ পুড়ল মোদি সরকারের, একমাসে তিনবার ভারত সফর বাতিল বাংলাদেশের মন্ত্রীর’।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত মাসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সফর বাতিলের পাশাপাশি ভারতকে সতর্ক করেছিলেন। ঠিক তার কিছুদিন পরেই বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান মেঘালয় সফর বাতিল করেন।

বাংলাদেশের মন্ত্রীদের পরপর ভারত সফর বাতিল প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।’

এনডিটিভি আরও উল্লেখ করেছে, সম্প্রতি অমিত শাহ বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ এনেছেন। এসব কারণেই বাংলাদেশের মন্ত্রীরা ভারত সফর বাতিল করেছেন বলে অনুমান।

তবে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরসঙ্গীর হওয়ার কারণেই ভারত সফর বাতিল করেছেন প্রতিমন্ত্রী।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

কিস্তির আসায় হাজীগঞ্জ থেকে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ গেলো ঢাকায়!

বাংলাদেশের ৩ মন্ত্রীর সফর বাতিলে মুখ পুড়ল মোদির: ভারতীয় মিডিয়া

আপডেট: ০৫:১৩:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতজুড়ে বিক্ষোভের জেরে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের তিনজন মন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করেছেন। বিষয়টিকে মোদি সরকারের ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম।

আগামী ১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য রাইসিনা সংলাপে অংশ না নেয়ার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

গত মাসে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীও নিজেদের সফর বাতিল করেন। এর এক সপ্তাহ পরেই দুই দেশের মধ্যে যৌথ নদী কমিশনের আলোচনাও বাতিল হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গটি সামনে এনে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজক পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

ভারতের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম আজকালের শিরোনামে বলা হয়, ‘ফের মুখ পুড়ল মোদি সরকারের, একমাসে তিনবার ভারত সফর বাতিল বাংলাদেশের মন্ত্রীর’।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত মাসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সফর বাতিলের পাশাপাশি ভারতকে সতর্ক করেছিলেন। ঠিক তার কিছুদিন পরেই বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান মেঘালয় সফর বাতিল করেন।

বাংলাদেশের মন্ত্রীদের পরপর ভারত সফর বাতিল প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।’

এনডিটিভি আরও উল্লেখ করেছে, সম্প্রতি অমিত শাহ বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ এনেছেন। এসব কারণেই বাংলাদেশের মন্ত্রীরা ভারত সফর বাতিল করেছেন বলে অনুমান।

তবে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরসঙ্গীর হওয়ার কারণেই ভারত সফর বাতিল করেছেন প্রতিমন্ত্রী।