হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর জয় গীতা পরিষদের উদ্যেগে গীতা স্কুল উদ্বোধন

  • আপডেট: ০৩:১৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২০
  • ৩০

নিজস্ব প্রতিনিধি :
গত শনিবার বিকেলে প্রতিকূল পরিবেশে মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলা ৯নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়েনের পূর্ব হরিপুর ও গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের জয় গীতা পরিষদের উদ্যেগে শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে সাপ্তাহিক মন্দির ভিত্তিক নৈতিক ও সনাতন ধর্ম শিক্ষার গীতার স্কুল উদ্ধোধন করা হয়। উক্ত অনুষ্টানের জয় গীতা পরিষদের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় দাসের সভাপত্বিতে এবং সাধারণ সম্পাদক জনক কৃষ্ণ দাস এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়ুয়া। এই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকতা সানজিদা মজুমাদার, ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, প্যানেল চেয়ারম্যন-১ ফিরোজ আহমেদ হীরা। উক্ত অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিনি বলেন আমাদের সন্তানদের গীতা ও নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। তবেই তারা মানুষের মত মানুষ হবে। শুধু গীতা নিকেতন চালু করলে হবে না, তা ঠিক ভাবে চলছে কিনা তাও তদারকি করতে হবে। ৯নং সন্ধর্ব্যপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন আমাদের এই ইউনিয়নে হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই। আপনাদের যে কোন সহযোগিতা আমি আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো। বিশেষ অথিতির বক্তব্য বাংলাদেশ লোকনাথ প্রচার সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রদীব চন্দ্র বলেন আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে হলে গীতা ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রচার আরো বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন আমাদের পরিবার থেকে এ শিক্ষার জন্য তাগিদ দিয়ে এই অজপাড়া গায়ে এক জাক তরুনেরা যে উদ্যেগ গ্রহণ করেছে আমি বিশেষ ভাবে তাদের ধন্যবাদ ও নমষ্কার জানাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কর্ম কর্তা ও শারদাঞ্জলি ফোরাম চাঁদপুর জেলার সম্মানিত সভাপতি শ্রীযুক্ত বাবু রিপন কুমার সাহা বক্তবে বলেন গীতা জ্ঞানে আলোকিত হলে সমাজ মাদকমুক্ত হবে, নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে আর বাবা, মা বৃদ্ধাআশ্রমে যেতে হবে না। এভাবে গীতা আলো ছড়িয়ে পড়বে প্রতি ঘরে ঘরে, গীতা শুধু একটা জাতি বা একটা সম্প্রদায়ের জন্য নয়। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন হে অর্জুন আমি গীতা জ্ঞানে ত্রিলোক পরিচালনা করি। শারদাঞ্জলি ফোরামের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক শ্রীযুক্ত বাবু শ্যামল চন্দ্র দাস, বিশেষ অথিতির বক্তব্য বাংলাদেশ লোকনাথ প্রচার সংঘের চাঁদপুর জেলা সমন্বয়ক সাংবাদিক সুজন দাস বলেন প্রতিটি মন্দির হোক ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষালয়, গীতা শিক্ষা ও গীতার প্রচার সকল সনাতন ধর্মের লোকদের কাছে পৌছাতে হবে তা হলে মানুষ তার ধর্মে সাথে নিজের জীবন দক্ষতার উন্নয়ণ করতে পারবে। তিনি আরো বলেন মানুষের জ্ঞান কে যে বড় করতে চায় তার জন্য তাকে ধর্মী শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। হাজীগঞ্জ উপজেলা আজ পর্যন্ত ২৬টি গীতার শিক্ষায় রয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত শারদাঞ্জলি ফোরামের বর্তমান প্রধান সমন্বয়ক- নন্দীতা দাস, প্রচার সম্পাদক, সুজিত দেবনাথ, হাজীগঞ্জ হিন্দু পরিবার কর্মী মিঠুন। সনাতন সংঘ চাঁদপুর ইউনিট সদস্যরা, উক্ত অনুষ্ঠানে জয় গীতা পরিষদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন সহ-সভাপতি নিরনজিৎ দাস, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুরনজিৎ দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন দাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দাস, কোষাধ্যক্ষ আকাশ দাস, সহ-কোষাধ্যক্ষ সাগর দাস, প্রচার সম্পাদক তাপস দাস, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সনজীবন দাস প্রমুখ।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

৮ মাসে হাফেজ হলেন ৮ বছরের শিশু

হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর জয় গীতা পরিষদের উদ্যেগে গীতা স্কুল উদ্বোধন

আপডেট: ০৩:১৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধি :
গত শনিবার বিকেলে প্রতিকূল পরিবেশে মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলা ৯নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়েনের পূর্ব হরিপুর ও গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের জয় গীতা পরিষদের উদ্যেগে শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে সাপ্তাহিক মন্দির ভিত্তিক নৈতিক ও সনাতন ধর্ম শিক্ষার গীতার স্কুল উদ্ধোধন করা হয়। উক্ত অনুষ্টানের জয় গীতা পরিষদের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় দাসের সভাপত্বিতে এবং সাধারণ সম্পাদক জনক কৃষ্ণ দাস এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়ুয়া। এই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকতা সানজিদা মজুমাদার, ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, প্যানেল চেয়ারম্যন-১ ফিরোজ আহমেদ হীরা। উক্ত অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিনি বলেন আমাদের সন্তানদের গীতা ও নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। তবেই তারা মানুষের মত মানুষ হবে। শুধু গীতা নিকেতন চালু করলে হবে না, তা ঠিক ভাবে চলছে কিনা তাও তদারকি করতে হবে। ৯নং সন্ধর্ব্যপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন আমাদের এই ইউনিয়নে হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই। আপনাদের যে কোন সহযোগিতা আমি আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো। বিশেষ অথিতির বক্তব্য বাংলাদেশ লোকনাথ প্রচার সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রদীব চন্দ্র বলেন আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে হলে গীতা ও ধর্মীয় শিক্ষার প্রচার আরো বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন আমাদের পরিবার থেকে এ শিক্ষার জন্য তাগিদ দিয়ে এই অজপাড়া গায়ে এক জাক তরুনেরা যে উদ্যেগ গ্রহণ করেছে আমি বিশেষ ভাবে তাদের ধন্যবাদ ও নমষ্কার জানাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কর্ম কর্তা ও শারদাঞ্জলি ফোরাম চাঁদপুর জেলার সম্মানিত সভাপতি শ্রীযুক্ত বাবু রিপন কুমার সাহা বক্তবে বলেন গীতা জ্ঞানে আলোকিত হলে সমাজ মাদকমুক্ত হবে, নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে আর বাবা, মা বৃদ্ধাআশ্রমে যেতে হবে না। এভাবে গীতা আলো ছড়িয়ে পড়বে প্রতি ঘরে ঘরে, গীতা শুধু একটা জাতি বা একটা সম্প্রদায়ের জন্য নয়। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন হে অর্জুন আমি গীতা জ্ঞানে ত্রিলোক পরিচালনা করি। শারদাঞ্জলি ফোরামের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক শ্রীযুক্ত বাবু শ্যামল চন্দ্র দাস, বিশেষ অথিতির বক্তব্য বাংলাদেশ লোকনাথ প্রচার সংঘের চাঁদপুর জেলা সমন্বয়ক সাংবাদিক সুজন দাস বলেন প্রতিটি মন্দির হোক ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষালয়, গীতা শিক্ষা ও গীতার প্রচার সকল সনাতন ধর্মের লোকদের কাছে পৌছাতে হবে তা হলে মানুষ তার ধর্মে সাথে নিজের জীবন দক্ষতার উন্নয়ণ করতে পারবে। তিনি আরো বলেন মানুষের জ্ঞান কে যে বড় করতে চায় তার জন্য তাকে ধর্মী শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। হাজীগঞ্জ উপজেলা আজ পর্যন্ত ২৬টি গীতার শিক্ষায় রয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত শারদাঞ্জলি ফোরামের বর্তমান প্রধান সমন্বয়ক- নন্দীতা দাস, প্রচার সম্পাদক, সুজিত দেবনাথ, হাজীগঞ্জ হিন্দু পরিবার কর্মী মিঠুন। সনাতন সংঘ চাঁদপুর ইউনিট সদস্যরা, উক্ত অনুষ্ঠানে জয় গীতা পরিষদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন সহ-সভাপতি নিরনজিৎ দাস, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুরনজিৎ দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন দাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দাস, কোষাধ্যক্ষ আকাশ দাস, সহ-কোষাধ্যক্ষ সাগর দাস, প্রচার সম্পাদক তাপস দাস, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সনজীবন দাস প্রমুখ।