মার্কিন-ইরান যুদ্ধের দামামা, তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আশঙ্কা

  • আপডেট: ০৫:১৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২০
  • ২২

অনলাইন ডেস্ক:

মার্কিন সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের সেনাপ্রধান কাসেম সোলেইমানি। বাগদাদ বিমানবন্দরে একই হামলায় মৃত্যু হয়েছে তেহরান সমর্থিত ইরাকি আধাসামরিক সেনাবাহিনীর এক পদস্থ কর্তাসহ আরও মোট আটজন। হামলার পরই টুইট করে মার্কিন জাতীয় পতাকার ছবি পোস্ট করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধ বন্ধের জন্যই তিনি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।’এদিকে, হামলার দায় স্বীকার করেছে পেন্টাগনও।

এবার পালটা হুঙ্কার তেহরানের। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির হুমকি, এই ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে’র ‘ফল ভুগতে’ হবে আমেরিকাকে। প্রেসিডেন্ট রুহানির আরও হুমকি, শুধু ইরান নয়, ওয়াশিংটনকে জব্দ করবে ‘অঞ্চলের স্বাধীন দেশগুলিও।’ ইরানের এ হুমকির মধ্যেই বাগদাদে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে আরও ৬ জন নিহত হয়েছে। ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে এসব করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের সম্পর্কে যে অবস্থা বিরাজমান তাতে অতিদ্রুত শান্তি আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।
সেনাপ্রধানের হত্যার খবরের পরই সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তেহরান। তিনি বর্তমানে ইরানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ইরানের দাবি, ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন সোলেমানি। এদিকে, সোলেমানির মৃত্যুর পর রাস্তায় বেরিয়ে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাসের ভিডিও শেয়ার করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দর লক্ষ্য করে অন্তত চারটি রকেট হামলা চালানো হয়। মার্কিন বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে বিমানবন্দরে দুটি গাড়ি লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। এই হামলাতেই ইরানের সেনাপ্রধান কাসেম সোলেমানি, আধাসামরিক সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা আবু মেহদি আল মুহানদিস এবং বিমানবন্দরের কর্মকর্তা মহম্মদ রেদারের মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই মার্কিন হামলায় তেহরান সমর্থিত ইরাকের আধাসামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত হিজবুল্লা গোষ্ঠীর ৩০ জনের মৃত্যুর পর, বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন লাগানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিবের অভিযোগ ছিল, এ হামলার পিছনে রয়েছে ইরানই। ‘বড়সড় মূল্য দিতে হবে’ হুমকি দিয়ে পশ্চিম এশিয়ায় কয়েক হাজার সেনা পাঠানোর কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইরানি সেনাপ্রধানের হত্যার পর পেন্টাগনের অভিযোগ, মার্কিন নাগরিক ও সম্পত্তির উপর হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন সোলেইমানি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে বাজার তদারকি অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

মার্কিন-ইরান যুদ্ধের দামামা, তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আশঙ্কা

আপডেট: ০৫:১৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

মার্কিন সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের সেনাপ্রধান কাসেম সোলেইমানি। বাগদাদ বিমানবন্দরে একই হামলায় মৃত্যু হয়েছে তেহরান সমর্থিত ইরাকি আধাসামরিক সেনাবাহিনীর এক পদস্থ কর্তাসহ আরও মোট আটজন। হামলার পরই টুইট করে মার্কিন জাতীয় পতাকার ছবি পোস্ট করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধ বন্ধের জন্যই তিনি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।’এদিকে, হামলার দায় স্বীকার করেছে পেন্টাগনও।

এবার পালটা হুঙ্কার তেহরানের। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির হুমকি, এই ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে’র ‘ফল ভুগতে’ হবে আমেরিকাকে। প্রেসিডেন্ট রুহানির আরও হুমকি, শুধু ইরান নয়, ওয়াশিংটনকে জব্দ করবে ‘অঞ্চলের স্বাধীন দেশগুলিও।’ ইরানের এ হুমকির মধ্যেই বাগদাদে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে আরও ৬ জন নিহত হয়েছে। ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে এসব করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের সম্পর্কে যে অবস্থা বিরাজমান তাতে অতিদ্রুত শান্তি আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।
সেনাপ্রধানের হত্যার খবরের পরই সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তেহরান। তিনি বর্তমানে ইরানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ইরানের দাবি, ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন সোলেমানি। এদিকে, সোলেমানির মৃত্যুর পর রাস্তায় বেরিয়ে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাসের ভিডিও শেয়ার করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দর লক্ষ্য করে অন্তত চারটি রকেট হামলা চালানো হয়। মার্কিন বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে বিমানবন্দরে দুটি গাড়ি লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। এই হামলাতেই ইরানের সেনাপ্রধান কাসেম সোলেমানি, আধাসামরিক সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা আবু মেহদি আল মুহানদিস এবং বিমানবন্দরের কর্মকর্তা মহম্মদ রেদারের মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই মার্কিন হামলায় তেহরান সমর্থিত ইরাকের আধাসামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত হিজবুল্লা গোষ্ঠীর ৩০ জনের মৃত্যুর পর, বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন লাগানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিবের অভিযোগ ছিল, এ হামলার পিছনে রয়েছে ইরানই। ‘বড়সড় মূল্য দিতে হবে’ হুমকি দিয়ে পশ্চিম এশিয়ায় কয়েক হাজার সেনা পাঠানোর কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইরানি সেনাপ্রধানের হত্যার পর পেন্টাগনের অভিযোগ, মার্কিন নাগরিক ও সম্পত্তির উপর হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন সোলেইমানি।