লিভার সিরোসিস কেন হয়, কী করবেন?

  • আপডেট: ১০:০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ৩৩

অনলাইন ডেস্ক :

লিভার সিরোসিস খুবই জটিল ও ভয়ংকর একটি রোগ। প্রতি বছর এই রোগে অনেক মানুষ মারা যায়। লিভারে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ হতে থাকলে একটি সময় পরে গুটি তৈরি হয়। গুটি তৈরি হওয়ার পরে একে আমরা লিভার সিরোসিস বলি।

তবে এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। আর জানা প্রয়োজন এই রোগের কারণ, লক্ষণ ও বাঁচার উপায়।

যেসব কারণে লিভার সিরোসিসের এ সমস্যা হয়-

১.হেপাটাইটিস বি-এর সংক্রমণ।

২.ফ্যাটি লিভার ডিজিস।

৩.হেপাটাইটিস সি ভাইরাস ইনফেকশন।

৪.জন্মগত কোনো অসুখের কারণে লিভার সিরোসিস হয়ে থাকে।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন লিভার সিরোসিস

১. সাধারণত খাদ্যে অরুচি।

২. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া।

৩. বমি ভাব বা বমি, বমি বা মলের সঙ্গে রক্তপাত।

৪. শরীরে পানি আসা।

৫. পরে যকৃতের অকার্যকারিতার সঙ্গে কিডনির অকার্যকারিতা।

৬. রক্তবমি, রক্তে আমিষ ও লবণের অসামঞ্জস্য জটিলতা। চিকিৎসা

বাঁচতে কী করবেন?

লিভার সিরোসিস একটি জটিল সমস্যা। তবে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে লিভার সিরোসিস থেকে অনেকটা দূরে থাকা যায়।

১.হেপাটাইটিস বি’র টীকা নিন।

২.অনিরাপদ যৌনতা, একই সুঁই বা সিরিঞ্জ বহুজনের ব্যবহার পরিহার করুন।

৩.নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন ও ডিজপজেবল সুঁই ব্যবহার করুন।

৪.ব্লেড, রেজার, ব্রাশ, ক্ষুর বহুজনে ব্যবহার বন্ধ করুন।

৫.ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন শাকসবজি ও ফলমূল বেশি করে খান।

৬. চর্বিযুক্ত খাবার কম খান।

৭.মদ্যপান ও অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য পরিহার করুন।

৮.বিশুদ্ধ পানি ও খাবার গ্রহণ করুন।

৯.ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ যায়েদ, ঢামেক টেলিমেডিসিন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে খাঁটি গরুর দুধ বিক্রর নামে প্রতারণা

লিভার সিরোসিস কেন হয়, কী করবেন?

আপডেট: ১০:০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক :

লিভার সিরোসিস খুবই জটিল ও ভয়ংকর একটি রোগ। প্রতি বছর এই রোগে অনেক মানুষ মারা যায়। লিভারে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ হতে থাকলে একটি সময় পরে গুটি তৈরি হয়। গুটি তৈরি হওয়ার পরে একে আমরা লিভার সিরোসিস বলি।

তবে এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। আর জানা প্রয়োজন এই রোগের কারণ, লক্ষণ ও বাঁচার উপায়।

যেসব কারণে লিভার সিরোসিসের এ সমস্যা হয়-

১.হেপাটাইটিস বি-এর সংক্রমণ।

২.ফ্যাটি লিভার ডিজিস।

৩.হেপাটাইটিস সি ভাইরাস ইনফেকশন।

৪.জন্মগত কোনো অসুখের কারণে লিভার সিরোসিস হয়ে থাকে।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন লিভার সিরোসিস

১. সাধারণত খাদ্যে অরুচি।

২. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া।

৩. বমি ভাব বা বমি, বমি বা মলের সঙ্গে রক্তপাত।

৪. শরীরে পানি আসা।

৫. পরে যকৃতের অকার্যকারিতার সঙ্গে কিডনির অকার্যকারিতা।

৬. রক্তবমি, রক্তে আমিষ ও লবণের অসামঞ্জস্য জটিলতা। চিকিৎসা

বাঁচতে কী করবেন?

লিভার সিরোসিস একটি জটিল সমস্যা। তবে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে লিভার সিরোসিস থেকে অনেকটা দূরে থাকা যায়।

১.হেপাটাইটিস বি’র টীকা নিন।

২.অনিরাপদ যৌনতা, একই সুঁই বা সিরিঞ্জ বহুজনের ব্যবহার পরিহার করুন।

৩.নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন ও ডিজপজেবল সুঁই ব্যবহার করুন।

৪.ব্লেড, রেজার, ব্রাশ, ক্ষুর বহুজনে ব্যবহার বন্ধ করুন।

৫.ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন শাকসবজি ও ফলমূল বেশি করে খান।

৬. চর্বিযুক্ত খাবার কম খান।

৭.মদ্যপান ও অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য পরিহার করুন।

৮.বিশুদ্ধ পানি ও খাবার গ্রহণ করুন।

৯.ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ যায়েদ, ঢামেক টেলিমেডিসিন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর।