ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম আয়োজন করেছে নবান্ন উৎসব। ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও পিঠা ভোজের মাধ্যমে সংগঠনের সদস্যরা এক মনোমুগ্ধকর বিকাল উদযাপন করলো।
সাংস্কৃতিক বিভাগের পরিচালক বাঁধন কুমার শীল’র সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অর্থ বিভাগের পরিচালক শামিম হাসান। আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের উপদেষ্টা ইমাম হোসেন সৌরাব ও মোস্তফা কামাল মুকুল, প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক নূরুল ইসলাম ফরহাদ, জেমকন সাহিত্য পদক প্রাপ্ত তরুণ কবি রফিকুজ্জামান রণি, কবি তুহিন এনায়েত প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন,‘নবান্ন শস্যভিত্তিক একটি লোকউৎসব। কৃষিভিত্তিক সভ্যতায় প্রধান শস্য সংগ্রহকে কেন্দ্র করে যেকোনো ঋতুতে এ উৎসব পালিত হয়ে থাকে। ঢেঁকিতে ধান ভানা, পিঠা তৈরী নবান্নতে দেখা যায়। ধান কাটার পর অগ্রহায়ণ কিংবা পৌষ মাসে গৃহস্থরা এ উৎসব পালনে মেতে উঠত। পিঠা-পায়েসের আদান-প্রদান এবং আত্মীয়-স্বজনের আগমনে গ্রামের প্রতিটি গৃহের পরিবেশ হয়ে উঠত মধুময়। সর্বত্র গুঁড়ি কোটার শব্দ, শাঁখের শব্দ ইত্যাদিতে গ্রামাঞ্চল হয়ে উঠত প্রণবন্ত। পাড়ায়-পাড়ায়, বাড়িতে-বাড়িতে বসত কীর্তন, পালাগান ও জারিগানের আসর। অগ্রহায়ণে মাসের উত্থান একাদশীতে মুখোশধারী বিভিন্ন দল রাতভর বাড়ি বাড়ি ঘুরে নাচগান করত। কৃষকরা নতুন ধান বিক্রি করে নতুন পোশাক-পরিচ্ছদ কিনত। বর্তমানে সেসবের অনেক কিছুই লোপ পেয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সভাপতি রাসেল হাসান ও মোহাম্মদ হুসাইন মিলন, সাহিত্য বিভাগের পরিচালক ও ধ্রুপদীর আহ্বায়ক ফাতেমা আক্তার শিল্পী, দপ্তর বিভাগের উপপরিচালক ও ধ্রুপদীর সদস্য সচিব খাদিজা আক্তার রিভা, সাংস্কৃতিক বিভাগের উপ-পরিচালক তৃপ্তি মনি, সাহিত্য বিভাগের উপ-পরিচালক ইয়াছিন দেওয়ান, দপ্তর বিভাগের পরিচালক ফাহিম, মহিলা ও শিশু বিভাগের পরিচালক রাবেয়া আক্তার ও উপ-পরিচালক রাশেদা হক, আইসিটি বিভাগের পরিচালক কাউসার আহমেদ ও উপপরিচালক সাকিব আহমেদ, সাংস্কৃতিক বিভাগের সাবেক পরিচালক ফরিদ আহমেদ রানা, নৃত্য একাডেমির কর্ণধার লিখন সরকার প্রমুখ।