• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০১৯

রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির সহযোগিতায় স্বপ্ন পূরণ হলো মেধাবী শিক্ষার্থী পান্নার

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

গাজী মহিনউদ্দিন॥
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য, মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির সহযোগিতায় অবশেষে ডাক্তারীর পড়ার স্বপ্ন পূরণ হলো হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী অদম্য মেধাবী পান্না আক্তার।

 “টাকার অভাবে মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত হাজীগঞ্জের পান্নার” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে বহুল প্রচারিত  “নতুনেরকথা” সংস্করণে এরপরেই বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের। তিনি তাৎক্ষণিক পান্নার পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং পান্নাকে মেডিকেলে ভর্তিসহ লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ বহন করার কথা জানান।

পান্না আকতার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস চলতি সেশনে ভর্তি হয়েছেন। সেখান থেকে ভর্তি ট্রান্সফার হয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেধা তালিকায় ৩য় স্থানে ভর্তি হয়।

পান্না আকতারের ভর্তিসহ সকল কার্যক্রম এককভাবে তদারকি করছেন চাঁদপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।

সোমবার দুপরে পান্না আকতার তার মা এবং হাজীগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ্ এমরান হোসেন বাচ্চু, রোটা. জাফর আহমদ, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল ও ‍যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেলসহ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির সাথে শাহরাস্তিতে সাক্ষাত করেন।

এ সময় মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি বলেন, পান্নাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল ভর্তি করার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার ওই কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেছি। পরবর্তীতে সোহরাওয়ার্দীতে রিলিজ স্লীপে ভর্তি হওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আমার সাথে যোগা-যোগ করেছে। আমি নিজেই গিয়ে তাকে কলেজে দিয়ে আসবো। তিনি বলেন পান্নার পড়া-লেখার যাবতীয় খরচ আমিই বহন করবো। এ সময় তিনি আরো বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির কোন শিক্ষার্থীর অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধ হবেনা। যদি কারো লেখা পড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা করবো।

পান্নার এমবিবিএস ভর্তির মূল টাকা প্রদানসহ গত ক’দিন ধরে পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি। এরই মধ্যে পান্না ও তার পরিবারের সাথে কয়েকবার মুঠো ফোনে কথা বলে নগদ টাকা প্রদান করেছেন তিনি।

অদম্য মেধাবী পান্না হাজীগঞ্জের রায়চোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় পাশ করে বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়। তার লেখা-পড়ার মনোযোগ দেখে শিক্ষকদের নজরে আসে। এইচএসসি পরীক্ষার পর পর পান্না একই কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক বিলকিস বেগমের কুমিল্লর বাসায় থেকে কলেজের অর্থায়নে মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার কোচিং করে। শেষ পর্যন্ত পান্না এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা-২০১৯-এ অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় ৬৭২নং স্থান অর্জন করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা লাভ করে।

আরো পড়ুন : সেই পান্নার মেডিকেল পড়ার সকল দায়িত্ব নিলেন রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি

পান্নার বাবা দুলাল মিয়ার পক্ষে কোনোভাবেই মেয়ের এমবিবিএস ভর্তির টাকা জোগানো সম্ভব নয় বিষয়টি নতুনেরকথা’ প্রতিনিধি’র নজরে আসে। এ নিয়ে রায়চোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরীন শামীম এবং সহকারি শিক্ষক মো. আব্দুল কুদ্দুস ফেসবুকে মানবিক আবেদন জানিয়ে পোস্ট করেন। পরে পান্নার কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় কয়েক সাংবাদিকের। এরপরেই গত বুধবার হাজীগঞ্জে কর্মরত ওই সকল সাংবাদিক বিভিন্ন অনলাইন ভার্সন ও বৃহস্পতিবারের প্রিন্ট ভার্সনে পান্নাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করান।

ওইদিন দুপরে পান্নার নিজ এলাকার সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি শাহরাস্তি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আহসান মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েল মুঠোফোনে কথা বলেন পান্না ও তার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে পান্নার পড়া-লেখার সকল দায়-দায়িত্ব মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম নিবে বলে তাদেরকে আশ^স্থ করেন। রাতে পৌর ছাত্রলীগের সাধারনা সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বির মুঠোফোনে পান্না, ও তার মা-বাবার সাথে কথা বলেন সাংসদ। এ সময় রফিকুল ইসলাম পান্না ও তার বাবা মাকে আশ্বস্ত করেন পান্নার সকল দায়িত্ব আমার। এ বিষয়ে আপনাদের কোন চিন্তা করতে হবেনা। একই দিন সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মা ইলিশ নিধন কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রেস কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক জানান, পান্নাকে জেলা প্রশাসকের শিক্ষা উন্নয়ন তহবিল থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হবে।

একই দিন বিকেল হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগির হোসেন রনি, ১৫ হাজার, জনৈক মহিলা ১০ হাজার, একজন সমাজ সেবক ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • শাহরাস্তি এর আরও খবর
error: Content is protected !!