ফরিদগঞ্জ, ২৫ নভেশ্বর, সোমবার:
সোমবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলী আফরোজ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মমতা আফরিনকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম মজুমদারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলী আফরোজ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মমতা আফরিন, ভাইস চেয়ারম্যান, জিএস তছলিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজুদা বেগম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মশিউর রহমান মিঠু, সাইফুল ইসলাম রিপন, ইউপি চেয়ারম্যান হাসান আব্দুল হাই, এইচ এম হারুন ও প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুন্নবী নোমান।
সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেছেন, একজন ভাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা হওয়ার কারণেই বিদায়ী কর্মকর্তা ইউএনও মোঃ আলী আফরোজ এবং সহকারি কমিশনার (ভুমি) মমতা আফরিন স্বল্প সময়েই ফরিদগঞ্জবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিতে পেরেছেন । আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত এই দুই কর্মকর্তাকে কাজের প্রতি আন্তরিককতার যেই নিদর্শন দেখেছি, তাতে আমি নিজেই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। অনেক কর্মকর্তাকে দেখেছি যারা শুধু দায়িত্ব পালন করতে হবে তাই দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু বিদায়ী দুই কর্মকর্তাকে দেখেছি ভিন্ন মাত্রায়। তারা ফরিদগঞ্জ উপজেলা এবং ৫ লক্ষ লোকজনকে তাদের নিজেদের ঘরের মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন এবং সেই ধরনের কর্মস্পৃহা দেখিয়েছেন। পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য বর্তমান নিবার্হী কর্মকর্তা অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন। যার প্রমান আমরা দেখতে শুরু করেছি। হয়ত তিনি চলে গেলেও সামনের দিনগুলোতে এসব কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হলে ফরিদগঞ্জ আরো সমৃদ্ধ হবে।
বিদায়ী অতিথি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ আলী আফরোজ বলেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলার মতো একটি বৃহৎ জনসংখ্যা ও আয়তনের উপজেলায় কাজ করতে এসে ভীত না হয়ে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। একজন ইউএনও হিসেবে আমার কাজ হয়ত অনেকের কাছে দৃশ্যমান নয়। উদহারন হিসেবে তিনি বলেন, বৃত্ত আঁকতে গিয়ে শুরুটা বিন্দুর উপর ভর করেই কাটা কম্পাস ঘুরাতে হয়। বৃত্তটা যখন সম্পন্ন হয়, তখন আর বিন্দুর অবস্থান দেখা যায় না। আমার কাজটাও সেই রকম। চেষ্টা করেছি ফরিদগঞ্জবাসীর জন্য কিছুটা কাজ করার। আশা করছি যতটুকু সময় পেয়েছি তার মধ্যেই চেষ্টা করা। আরেক বিদায়ী অতিথি সহকারি কমিশনার (ভুমি) মমতা আফরিন বলেন, নতুন দায়িত্ব হিসেবে আমি এসিল্যান্ড হিসেবে কাজ করতে গিয়ে কোন অনৈতিক কাজ করিনি। চেষ্টা করেছি দ্রুত মানুষের সেবা প্রদানের জন্য। সেই সাথে মানুষের আন্তরিকতা পেয়েছি বলেই ভুমি ব্যবস্থাপনায় কিছুটা উন্নয়ন ঘটাতে পেরেছি। আলোচনা শেষে বিদায়ী দুই অতিথিকে উপজেলা পরিষদ ও চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট এবং উপহার তুলে দেওয়া হয়।