মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা দিচ্ছে পিইসি পরীক্ষা

  • আপডেট: ০৩:০১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৪

অনলাইন ডেস্ক:

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে আনন্দ স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) অংশগ্রহণ করছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের রক্স প্রকল্পের আওতায় চৌহালী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৭৪টি কেন্দ্র আনন্দ স্কুল পরিচালনা করে আসছে। মূলত চরাঞ্চলের ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য আনন্দ স্কুলের কার্যক্রম চলে আসছে।

যমুনা বিধ্বস্ত এ উপজেলায় আনন্দ স্কুলের কার্যক্রম কাগজে-কলমে চললেও বাস্তবে শিক্ষার্থী নেই। এরপর শিক্ষকদের মাসিক বেতন, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ গ্রহণ করে আসছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। চলমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এই তথ্য ফাঁস হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পুখুরিয়া কোদালিয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে সরেজমিন দেখা যায়, বয়স্ক শিক্ষার্থীরা পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা দিচ্ছে। ক্যামেরা দেখে শিক্ষার্থীরা মুখ লুকিয়ে রাখে ও ছবি তুলতে নিষেধ করে।

এ দিকে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে কেন্দ্রের পাশে অবস্থানরত আনন্দ স্কুলের একদল শিক্ষক এসে সাংবাদিকের তথ্য দিতে নানা তালবাহানা করেন।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান, ৭০০ টাকা করে দিয়ে আমাদের পরীক্ষায় অংশনিতে বলা হয়েছে। স্যাররা সহযোগিতা করে লেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। তাই পরীক্ষা দিচ্ছি।

আরেক পরীক্ষার্থী জানায়, এবার জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছি তারপরও আমার নাম আনন্দ স্কুলের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এর আগের পরীক্ষাও দিয়েছি। আজ ইসলাম শিক্ষা পরীক্ষা দিলাম।

তবে পুখুরিয়া কোদালিয়া কেন্দ্রের হল সুপার রুহুল আমিন জানান, আমি এ ঝামেলায় নেই, আমি কাউকে চিনি না। ভুয়া পরীক্ষার্থীর বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না।

এ বিষয়ে জানতে আনন্দ স্কুল প্রকল্পের চৌহালীর ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর (টিসি) শাহজাহান আলীর মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ যুগান্তরকে জানান, অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী দিয়ে আনন্দ স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী’র সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম

মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা দিচ্ছে পিইসি পরীক্ষা

আপডেট: ০৩:০১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে আনন্দ স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) অংশগ্রহণ করছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের রক্স প্রকল্পের আওতায় চৌহালী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৭৪টি কেন্দ্র আনন্দ স্কুল পরিচালনা করে আসছে। মূলত চরাঞ্চলের ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য আনন্দ স্কুলের কার্যক্রম চলে আসছে।

যমুনা বিধ্বস্ত এ উপজেলায় আনন্দ স্কুলের কার্যক্রম কাগজে-কলমে চললেও বাস্তবে শিক্ষার্থী নেই। এরপর শিক্ষকদের মাসিক বেতন, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ গ্রহণ করে আসছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। চলমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এই তথ্য ফাঁস হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পুখুরিয়া কোদালিয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে সরেজমিন দেখা যায়, বয়স্ক শিক্ষার্থীরা পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা দিচ্ছে। ক্যামেরা দেখে শিক্ষার্থীরা মুখ লুকিয়ে রাখে ও ছবি তুলতে নিষেধ করে।

এ দিকে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে কেন্দ্রের পাশে অবস্থানরত আনন্দ স্কুলের একদল শিক্ষক এসে সাংবাদিকের তথ্য দিতে নানা তালবাহানা করেন।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান, ৭০০ টাকা করে দিয়ে আমাদের পরীক্ষায় অংশনিতে বলা হয়েছে। স্যাররা সহযোগিতা করে লেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। তাই পরীক্ষা দিচ্ছি।

আরেক পরীক্ষার্থী জানায়, এবার জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছি তারপরও আমার নাম আনন্দ স্কুলের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এর আগের পরীক্ষাও দিয়েছি। আজ ইসলাম শিক্ষা পরীক্ষা দিলাম।

তবে পুখুরিয়া কোদালিয়া কেন্দ্রের হল সুপার রুহুল আমিন জানান, আমি এ ঝামেলায় নেই, আমি কাউকে চিনি না। ভুয়া পরীক্ষার্থীর বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না।

এ বিষয়ে জানতে আনন্দ স্কুল প্রকল্পের চৌহালীর ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর (টিসি) শাহজাহান আলীর মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ যুগান্তরকে জানান, অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী দিয়ে আনন্দ স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।