অনলাইন ডেস্ক:
আগামী ২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। এবার মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে জেএসসিতে ২২ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬ জন এবং জেডিসিতে ৪ লাখ ৯৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৯৮২টি। এছাড়াও দেশের বাইরে অর্থাৎ জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা, ত্রিপলী, দোহা, সাহাম, বাহরাইন, আবুধাবি ও দুবাইয়ে মোট ৯টি কেন্দ্রে ৪৫৪ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮ হাজার ৬৫১ জন। ২০১৮ সালে এই দুই পরীক্ষায় ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী। আর ২০১৯ সালে এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী কারিগরিসহ অন্য মাধ্যমে চলে যাওয়ায় কমেছে। তবে বেড়েছে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এবার দুই মাধ্যমে গেল বছরের চেয়ে ২ লাখ ১৮ হাজার ২৯২ জন শিক্ষার্থী। এবার জেএসসিতে অনিমিয়ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩১০ জন এবং জেডিসিতে ৩০ হাজার ২৯১ জন।’
এবারও জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের ৭ বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। ইংরেজি ছাড়া সব বিষয় পরীক্ষা হবে সৃজনশীল পদ্ধতিতে। শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, চারু ও কারুকলা, কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, আরবি, সংস্কৃত, পালি বিষয়ে এনসিবিটির নির্দেশনা অনুযায়ী ধারাবাহিক মূল্যায়ন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। যে শিক্ষার্থী দেরি করবে তার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে তা বোর্ডকে অবহিত করতে হবে।
পরীক্ষায় শ্রবণ ও অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের জন্য ২০ মিনিট বাড়তি সময় রাখা হয়েছে। পাশাপাশি অটিস্টিক, ডাউন, সিন্ড্রোম, সেরিব্রালপলসি পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় রাখা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে বৃত্তি দিতে হবে না। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।