অনলােইন ডেস্ক:
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা বলে দেয়, জনগণের ঐক্যের কোনও বিকল্প নেই। ঐক্যের ডাক জেলা, গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় নিতে যেতে হবে। ক্ষমতার মালিক জনগণ যেন নিজের ভূমিকা রাখতে পারে। সেজন্য ঐক্যকে সুসংহত করতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। নির্বাচন কেন্দ্রিক সংকট সমাধানে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন ও প্রাসঙ্গিকতা শিরোনামের এ সভার আয়োজন করে মুক্তিজোট।
ড. কামাল বলেন, স্বৈরশাসকরা জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে চায় না। তবে অতীতে এ ধরনের শাসকরা এসব করে ক্ষমতায় থাকতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠা হবে বলেও মন্তব্য করেন গণফোরাম সভাপতি।
তিনি বলেন, সেই ধরনের শাসন ব্যবস্থা জনগণের আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে পারে। আসুন ঐক্যের শপথ নিই, ঐক্য আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
মুক্তিজোটের জাতীয় সমন্বয়ক এ আর শিকদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
তিনি বলেন, অঘোষিতভাবে দেশে এখন কোনও সংবিধান নেই। ক্ষমতাসীনরা যেমন ইচ্ছে সেভাবে দেশ পরিচালনা করছে। স্বৈরশাসকদের দেশ পরিচালনায় কিছু নিয়ম থাকে, কিন্তু এখন দেশে এক ব্যক্তির শাসন চলছে।
জেএসডি সভাপতির মতে, মশা মারা থেকে শুরু করে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার হত্যার আসামিদের ধরতে তার নির্দেশ লাগে। তার হুকুম ছাড়া কিছুই হয় না।
তিনি বলেন, দেশে উন্নয়নের জুয়াতন্ত্র (ক্যাসিনো), উন্নয়নের সন্ত্রাসতন্ত্র (আবরার হত্যা) চলছে। দেশটা জাহান্নাম বানিয়েছে তারা। এখন বলা হচ্ছে ছাত্র রাজনীতির কারণে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে।
ব্যক্তিগত শত্রুতা নয়, দেশবিরোধী চুক্তির বিরোধিতা করার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে বলেই দাবি করেন আ স ম আবদুর রব।
আসাদ হত্যার কারণে আইয়ুব খানকে এ দেশ থেকে চলে যেতে হয়েছে উল্লেখ করে রব বলেন, আবরার হত্যার কারণে আপনাদের ক্ষমতা থেকে চলে যেতে হবে। সেটার বেশি দেরি নেই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন– মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না, জেএসডি সহ-সভাপতি তানিয়া রব ও মুক্তিজোটের জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান সিরাজুল ইসলাম।