নতুনেরকথা অনলাইন :
সবসময় হাতের কাছে পাওয়া এমন একটি ফল হলো আমড়া। আমড়াতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। মুখে রুচি বৃদ্ধিসহ অসংখ্য গুনাগুন রয়েছে আমড়ার।
একটু ঝাল-লবন মেখে হাঁটতে চলতে ফিরতে, কথা বলতে বলতে কিংবা কাজের ফাঁকে সহজেই খাওয়া যায় এই ফল।
হজমে সহায়ক আমড়া
হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আমড়া। তাই তেল ও চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার পর আমড়া খেয়ে নিতে পারেন; হজমে সহায়ক হবে।
রোগ প্রতিষেধক হিসেবে
আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এটি খেলে স্কার্ভি রোগ এড়ানো যায়। বিভিন্ন প্রকার ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে আমড়া। যে কোন কারণে কারো মুখের স্বাদ হারিয়ে গেলে তা ফিরিয়ে দেয় আমড়া। সর্দি-কাশি-জ্বরের উপশমেও আমড়া অত্যন্ত উপকারী।
হাজারো ভেষজগুণ আমড়ার
শিশুর দৈহিক গঠনে ক্যালসিয়াম খুব দরকারি। ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস এই আমড়া। শিশুদের এই ফল খেতে উৎসাহিত করতে পারেন। এছাড়া এটি রক্তস্বল্পতাও দূর করে। কিছু ভেষজ গুণ আছে আমড়ায়। এটি পিত্তনাশক ও কফনাশক। আমড়া খেলে মুখে রুচি ফেরে, ক্ষুধা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। আমড়ার রয়েছে অজস্র ভেষজগুণ।
প্রচুর মিনারেলস
আমড়ায় থাকা ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। খাদ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং ই এটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে। পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আমড়ায় প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম আর আঁশ আছে, যেগুলো শরীরের জন্য খুব দরকারি। জেনে অবাক হবেন যে আমড়াতে রয়েছে আপেলের চাইতে প্রায় তিরিশ গুন ভিটামিন।
ত্বক ভাল রাখে
ত্বকের ব্রণ কমাতে, ত্বক উজ্জ্বল রাখতে আমড়া উপকারী। আমড়ার ভিটামিন ‘সি’ ত্বক উজ্জ্বল রাখতে অত্যন্ত দরকার। তাই ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে খেতে পারেন আমড়া।
প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ১ দশমিক ১ গ্রাম প্রোটিন, ১৫ গ্রাম শ্বেতসার, শূন্য দশমিক ১০ গ্রাম স্নেহ জাতীয় পদার্থ এবং ৮০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন আছে। এ ছাড়াও আছে শূন্য দশমিক ২৮ মিলিগ্রাম থায়ামিন, শূন্য দশিমক শূন্য চার মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, ৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং তিন দশমিক নয় মিলিগ্রাম লৌহ। আমড়ার খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালোরি। খনিজ পদার্থ বা মিনারেলসের পরিমাণ শূন্য দশমিক ছয় গ্রাম। সূত্র: বোল্ড স্কাই