কচুয়া প্রতিনিধি ॥
কচুয়ায় দীর্ঘদিনের জমিজমা বিরোধের জেরে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আশরাফপুর ইউনিয়নের উত্তরা আশ্রাফপুর গ্রামের জুমা বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানাগেছে, ওই গ্রামের জুমা বাড়ির মৃত সৈয়দ আহমেদের দুই ছেলে মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ও খোরশেদ আলমের সাথে বসতবাড়ির জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জের ধরে গতকাল শনিবার সকালে মোস্তফা কামালের রান্নাঘর ভাঙচুর করে তার জায়গার উপর ভাই খোরশেদ আলম বাড়ির সীমানা নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এই ঘটনায় ঘটনায় মোস্তফা কামালের পরিবার লোকজন বাঁধা প্রদান করলে লোকজন দিয়ে বিভিন্ন হুমকি-ধুমকি প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল জানান, খোরশেদ আলম আমার আপন ছোট ভাই। আমরা দুই ভাই মিলে ৩০৪ নং আশরাফপুর মৌজার ১৫৭ হালে ১৬৪৩ ও ১৬৪৪ দাগের ২৬ শতক জমি ক্রয় করি। বাস্তবে গিয়ে ২৩ শতক জমি বুঝে পাই। ওই ২৩ শতকের মধ্যে সাড়ে ১১ শতক করে দুই ভাইয়ের মধ্যে বন্টন হয়। পরবর্তীতে আমি আরো ৩ শতক জমি ক্রয় করে কোন মূল্য না নিয়ে আমার ছোট ভাইকে দেড় শতাংশ জমি দখল বুঝিয়ে দেই। আমার ছোট ভাইকে সর্বমোট ১৩ শতক জমি দখল বুঝিয়ে দিলেও আমার বাড়ির জায়গায় জোরপূর্বক দখল করার জন্য একাধিকবার আমার পরিবার উপর অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর করেন।
শনিবার সকালে আমি বাড়িতে না থাকায় আমার পরিবারকে বসত ঘরে অবরুদ্ধ করে একদল সন্ত্রাসী বাহিনীকে নিয়ে আমার বাড়ির জায়গার উপর রান্নাঘর ভাঙচুর করে ছিন্ন-বিছিন্ন করে দেন ছোট ভাই খোরশেদ আলম। পাশাপাশি আমার জায়গার উপর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা জন্য পরিকল্পনা শুরু করেন। পরবর্তীতে আমার পরিবার কচুয়া থানার বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছেঁ সীমানার নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন।
তিনি আরো জানান, জায়গায় নিয়ে বারবার দখল করতে আসলে অবশেষে আমি আদালতে আশ্রয় নেই। বর্তমানে আদলতে মামলা চলমান রয়েছে।
বিবাদী খোরশেদ আলম জানান, আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর আমার বড় ভাই মোস্তফা কামাল রান্নাঘর তুলে রেখেছে। রান্নাঘর সরিয়ে আমার জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য কয়েকবার বলার পরেও তিনি কোন সমাধানে আসেনি। এইজন্য আমি গতকাল শনিবার সকালে মিস্ত্রি দিয়ে রান্নাঘর আমার জায়গা থেকে সরিয়ে দিয়ে তার জায়গার উপরে রেখে দেই।
এই ভাঙচুরের ঘটনায় ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল পরিবার পক্ষ থেকে কচুয়া থানায় এজাহারে দায়ের প্রস্তুতি চলছে।